অভিযান চালিয়ে পাঁচ কোটি টাকা সমমূল্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ভেজাল মাছ,মাংস জব্দ

ই-বার্তা ডেস্ক ।। প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য অধিদফতর এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাঁচ কোটি টাকা সমমূল্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল মাছ, গরু-মহিষ ও ভেড়ার মাংস জব্দ করেছে র‌্যাব-২ এর একটি দল।

মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত অবধি রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল পুরাতন এফডিসি রোডের (৭/সি/১ তেজগাঁও শিল্প এলাকা) সেভ অ্যান্ড ফ্রেশ ফুড লিমিটেড নামের হিমাগারে অভিযান চলে। হিমাগারে র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

এছাড়াও জব্দ তালিকায় আরও রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ সামুদ্রিক কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক, সামুদ্রিক চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ, বিদেশি নুডুলস, চিকেন টিক্কা, প্যারট বিফ, চিকেন ফ্রাইডস, লবস্টার সালাদ, চিকেন ফিশার।

 মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত অবধি সরেজমিনে দেখা যায়, মালবাহী পিক-আপ ভ্যান থেকে নামানো হচ্ছিল মাছ-মাংসের প্যাকেট। ভবনের বিভিন্ন কক্ষ থেকে বিভিন্ন আইটেমের প্যাকেট বাইরে বের করে আনেন র‌্যাব সদস্যরা।

মাছ ও মাংসের কার্টনে দেখা যায়, ২০১০ সালে এসব মাংস প্যাকেটজাত করা হয়। এগুলোর মেয়াদ ২০১০ সালের ৪ অক্টোবর শেষ হয়ে গেছে। প্রায় ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ সংরক্ষণের মেয়াদও শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। কোনো কোনো কার্টনের মেয়াদ দুই থেকে তিন বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। কিছু কার্টনে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ পরিবর্তন করে হিমাগারে প্যাকেটজাত করে মজুত রাখা হয়েছে। এসব ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেননি হিমাগার কিংবা মজুত রাখা প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, হিমাগারের ভেতর প্রচুর পচা মাছ ও মাংস মজুত রাখা ছিল। এখান থেকে কিছু মাংস ও মাছ সরানোর অপচেষ্টাও চলে। তবে আমরা ধরে ফেলেছি। এই হিমাগারে মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল মজুত রেখেছিল ফুড চেইন এশিয়া লিমিটেড নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া এখানে সেভ অ্যান্ড ফ্রেস ফুড লিমিটেড, সেভি ফুড লিমিটেড ও হার্ভি ফুড লিমিটেডসহ আরও কিছু নামিদামি প্রতিষ্ঠান।

ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, এখানে অভিযানে এসে আমরা খুবই হতবাক হয়েছি। ভোক্তারা টাকা দিয়ে কী কিনছেন আর খাচ্ছেনই বা কী? আরও অবাক করার বিষয় হচ্ছে, নিয়ম লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে গরু, মহিষ, ভেড়া ও খাসির মাংস। আমদানি করা হয়েছে সামুদ্রিক মাছ আর বিদেশি নুডলস।

 প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার বলেন, এখানে অভিযান শেষ হলে জব্দকৃত পণ্যের পরিমাণ, কোন কোন প্রতিষ্ঠান এখানে মালামাল রাখছে তা স্পষ্ট হবে। জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া