‘অর্থ পাচার ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার’

ই- বার্তা ডেস্ক।।   অর্থ পাচার ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে মানি লন্ডারিং সম্পর্কিত জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থ পাচার রোধে সকল আমদানি-রফতানিকৃত পণ্য যথাযথভাবে স্ক্যানিং করা হবে। পাশাপাশি আমদানি-রফতানিতে যারা ওভার অ্যান্ড আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের সঙ্গে জড়িত তাদের জরিমানার পাশাপাশি মামালা করা হবে। মামলার রায় অনুযায়ী তাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের অর্থ পাচার মূলত ব্যাংক ও এনবিআর এই দুই জায়গার মাধ্যমে হয়। এর বাইরে বড় আকারে মানি লন্ডারিংয়ের ব্যবস্থা নেই। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি-রফতানির মাধ্যমে এবং ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলার মধ্য দিয়ে অর্থ পাচার হয়। আমদানি-রফতানির মাধ্যমে অর্থ পাচার রোধে আমরা শতভাগ স্ক্যানারের ব্যবস্থা করছি।’

তিনি বলেন, ‘এছাড়া ওভার প্রাইসিং আর আন্ডার প্রাইসিং রোধে পিএসআই’র আদলে এনবিআরে একটি সেল খোলা হবে। তারা নেটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পণ্যের দাম জানবে। তারপর তারা রিপোর্ট করবে। ওই দামের চেয়ে ঊনিশ-বিশ হলে সমস্যা থাকবে না। তবে বেশি পার্থক্য থাকলে সেসব পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হবে। এখানেই শেষ নয়, যারা এর সঙ্গে জড়িত থাকবে এখন তাদেরকে শুধু জারিমানা করা হয়। আগামীতে জারিমানার পাশাপাশি আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে। মামলার রায় অনুযায়ী তারদেরক কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।’

তিনি বলেন, এর আগে এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক বছরে তিনটা হতো। এখন থেকে চারটা বৈঠক হবে। বৈঠকে পর্যালোচনা হবে বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো কতটা বাস্তবায়ন হলো।অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারো বিরুদ্ধে নই। কিন্তু কেউ দেশের ক্ষতি করে, জনগণের ক্ষতি করে পার পেয়ে যাক-এটা আমরা চাই না। সবাই ব্যবসা-বণিজ্য করতে পারবে। তবে কাউকে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন করতে দেয়া হবে না। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।

ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম