আগামী জুমার দিন নিউজিল্যান্ডের নারীদেরকে স্কার্ফ পরার আহ্বান

ই-বার্তা ডেস্ক ।।   ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে জুমার নামাজরত মুসলিমদের ওপর হামলার পর দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে আগামী শুক্রবার কিউই নারীদেরকে স্কার্ফ পরার আহ্বান জানিয়েছে ‘স্কার্ভস ইন সলিডারিটি’ নামের একটি সংগঠন।বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যম ‘নিউজহাব’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশব্যাপী এই আয়োজনের অন্যতম সংগঠক হলেন অ্যানা থমাস নামের এক নারী। ইতোমধ্যে অনলাইনে কয়েকশ’ মানুষ এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে কমেন্ট করেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ম্যাজিক টক নামের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক সিয়ান প্লানকেটকে অ্যানা থমাস জানান, তারা বোঝাতে চান যে দেশটির মুসলিমরা একা নয়। তিনি বলেন, নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার আমরা স্কার্ফ পরবো।

তিনি বলেন, যে নারীরা হিজাব পরে নিউজিল্যান্ডের রাস্তায় বের হয়, তারা বর্ণবাদী হামলার আশঙ্কায় থাকে। তাই এদেশের সব নারী হিজাব পরলে তাদের এই আশঙ্কা অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে। তারা মনে করবে আমরা সবসময় তাদের পাশেই আছি।

এদিকে  কয়েকজন তার এই আহ্বানকে একটি বিপজ্জনক সাংস্কৃতিক জবরদস্তি বলে সমালোচনা করেছেন। এই বিষয়ে থমাস জানান, তিনি ইসলামিক উইমেন’স কাউন্সিলের সদস্য নাসরিন হানিফের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। নাসরিন হানিফ এই বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।

নাসরিন হানিফ অ্যানা থমাসকে বলেন, এতে মনে হবে নিউজিল্যান্ডের সব মানুষ আমাদের কষ্টে পাশে আছে। আপনার এই চিন্তাভাবনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। এদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি জানানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হবে এটি।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার আল নূর এবং লিনউড মসজিদে পরপর হামলা করে ৫০ জনকে নিহত এবং ৫০ জনকে আহত করেছেন ব্রেনটন ট্যারেন্ট নামের এক ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক। হামলার ৩৬ মিনিট পর তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় স্থানীয় পুলিশ।

এ বিষয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন এটাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেন। পরে তিনি দেশটির সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনে বলেন, মসজিদে হামলাকারী সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে। তিনি নিজে অনেক কিছু ভাবতে পারেন কিন্তু কুখ্যাতি ছাড়া আর কিছুই পাননি।

ই-বার্তা / শাহাদাত ছৈয়াল