আগামী ১০ বছরে ভারতীয়দের চেয়ে বেশি ধনী হবে বাংলাদেশিরা: গবেষণা

ই-বার্তা।।  আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের চেয়ে ধনী দেশে রূপান্তরিত হবে বাংলাদেশ।  

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, অর্থনীতির বিচারে আগামী দশক হবে এশিয়ার এবং এই মহাদেশের দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান হবে খুবই উল্লেখযোগ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আগামী দশকে এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ এবং পুরো দশক ধরে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এশিয়ার এই দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ফিলিপিন।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ব্যাংকের ভারত-ভিত্তিক গবেষণা শাখার প্রধান মাধুর ঝা এবং সারা বিশ্বে ব্যাঙ্কটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেভিড ম্যান।

গবেষণায় তারা বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে সবচেয়ে বেশি, কারণ এসব দেশের লোকসংখ্যা হবে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশাল জনসংখ্যা ভারতের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতের বিনিয়োগ থেকে সুফল পেতে শুরু করবে বাংলাদেশ যা তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

এশিয়াতে এই পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে ২০১০ সাল থেকে। তখন থেকেই স্ট্যানডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এশিয়ার এই দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নজর রাখতে শুরু করে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।

গবেষণায় জানানো হয়, মাথাপিছু আয়ের হিসেবে আগামী এক দশকে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। ব্যংকটি বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১,৬০০ ডলার ২০৩০ সালে এই আয় দাঁড়াবে ৫,৭০০ ডলার।

অন্যদিকে বর্তমানে ভারতে মাথাপিছু আয় ১,৯০০ ডলার কিন্তু ২০৩০ সালে হবে ৫,৪০০ ডলার যা বাংলাদেশের থেকে ৩০০ ডলার কম।

গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি ঘটবে ভিয়েতনামে। ২০৩০ সালে দেশটির মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১০,৪০০ ডলার হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এছাড়া মিয়ানমারে বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১,৩০০ ডলার এবং ২০৩০ সালে তাদের এই আয় দাঁড়াবে ৪,৮০০ ডলার।

সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেশগুলোর এই ক্লাবে গত চার দশক ধরেই ছিল চীন। কিন্তু এবার যে তালিকা করা হয়েছে তাতে চীন বাদ পড়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগের তুলনায় শ্লথ হয়ে পড়েছে।

তথ্য সূত্র: বিবিসি, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, ব্লুমবার্গ, দ্য প্রিন্ট।