আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবেও হেরে গেছেন বরিস জনসন

ই-বার্তা ডেস্ক।।  দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় আগাম নির্বাচন নিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রস্তাব বুধবার সংসদে খারিজ হয়ে গেছে।  

বিবিসি জানায়, বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রী হাউস অব কমন্সে দুই দফা পরাজিত হয়েছেন। এর মাধ্যমে ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটেনে রাজনৈতিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। যাকে সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন বলা হচ্ছে।

চুক্তি ছাড়া বেরিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে বিলটি এনেছে বিরোধী দলগুলো, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একদল বিদ্রোহী এমপি। এই বিল ব্রেক্সিট প্রশ্নে সরকারের ভূমিকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

এই বিলের মাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি সমঝোতা করে পার্লামেন্টে নিয়ে আসতে না পারেন, তাহলে তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ফিরে যেতে হবে। 

এই অনুরোধ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নে যে চিঠি পাঠাবেন, সেটার ভাষা কী হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এই বিলের মাধ্যমে।

‘নো-ডিল ব্রেক্সিট’ আটকে দিয়ে সংসদে যে বিল পাশ করা হয়েছে সেটি এক অর্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আত্মসমর্পণ বলে বর্ণনা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

এই বিল পাশ হওয়ার পরে বরিস জনসন ১৫ অক্টোবর নির্বাচনের প্রস্তাব আনেন। কিন্তু ব্রিটেনে এখন যে ‘ফিক্সড টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্ট’ রয়েছে সে বলা আছে যে একটি পার্লামেন্ট যে মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবে সে মেয়াদ পর্যন্ত থাকবে।

আগাম নির্বাচন করতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের সমর্থন লাগবে। কিন্তু আগাম নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব এই সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছে। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু