আজ থেকে করোনার বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু

ই-বার্তা ডেস্ক   ।।  করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় দেশে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফাইজারের টিকা দিয়ে এই কার্যক্রমের শুরু হয়েছে।

রোববার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ টিকা নেওয়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে দিয়ে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু করতে পারছি। এর আগে আমরা অনেক দেশের আগেই দেশে টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। ডাক্তার, নার্সসহ ফ্রন্টলাইনারদের টিকা দিতে পেরেছি।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বয়স্ক ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই ডোজ নিতে আসাদের প্রত্যেককেই ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, আগে যে কোনো ডোজ নেওয়া ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার নিতে পারবেন। প্রথম দিন পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন শ্রেণির ষাটোর্ধ্ব বয়সি দু-তিনজন করে ফাইজারের টিকা দিয়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। পরে টিকা নিবন্ধনের জন্য তৈরি সুরক্ষা অ্যাপে বুস্টার ডোজের উপযোগীদের তালিকা তৈরির কাজ শেষ হলে সারা দেশে একযোগে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে।

এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়ার শুভ্র সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যাদের টিকা নেওয়ার সময় ছয় মাস অথবা এক বছর হয়ে গেছে, প্রথমে তারাই করোনা টিকার বুস্টার ডোজ পাবেন। প্রাথমিকভাবে দেশে ফাইজারের টিকা বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে বুস্টার ডোজ টিকা সারা দেশে দেওয়া হবে। আমাদের হাতে বর্তমানে সাত লাখ ফাইজারের টিকা রয়েছে। আগামী মাসে আরও দুই কোটি টিকা আসবে। তিনি বলেন, দেশে টিকার কোনো অভাব হবে না। ইতোমধ্যে ১১ কোটির বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। আরও পাঁচ কোটি টিকা মজুদ রয়েছে।

প্রচলিত টিকার দুই ডোজ করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়া থেকে দূরে রাখতে যথেষ্ট নয় বলে জানান যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। তবে দুই ডোজের পর আরেকটি বুস্টার ডোজ ৭৫ শতাংশের কাছাকাছি সুরক্ষা দিতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে। এদিকে টিকাদানের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর এখন সেই টিকার সুরক্ষা দুর্বল হয়ে আসছে। এমন অবস্থায় কিছু দেশ তাদের নাগরিকদের আরেকটি ডোজ টিকা দিচ্ছে, যেটিকে বুস্টার ডোজ বলা হচ্ছে।