আজ দুপুরে উড়িষ্যায় আঘাত হানবে ফণি

ই-বার্তা ডেস্ক।।  শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণি আছড়ে পড়ার জন্য দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে ভারতের উড়িষ্যা উপকূলের দিকে। ঝড়ের সময় বাতাসের একটানা গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ভারতের ক্যাবিনেট সচিব, মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবসহ আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

উড়িষ্যার উনিশটি জেলা, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় তিনটি জেলায় ফণী আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা।  নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতের ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে গত দুদিনে মোট ১০৩টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ উড়িষ্যায় ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি করেছে।  পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্র প্রদেশের তিনটি জেলায়ও একই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।  ওই উপকূলীয় এলাকার জেলেদের ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উড়িষ্যার পুরী থেকে ফণির দূরত্ব ছিল ৩৩০ কিলোমিটার।  বিশাখাপত্তম থেকে দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার। শক্তি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে এ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।  সতর্কতা জারি হয়েছে দিঘা, মন্দারমনিতেও। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সমুদ্রস্নানে।  মাইকে পর্যটকদের সতর্ক করছে পুলিশ।  আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, ওড়িশার ১৯টি জেলায় এর প্রভাব পড়তে পারে।  প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্র প্রদেশের তিনটি জেলায়। 

ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতোমধ্যে কেন্দ্রাপড়া, বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, গজপতি, কটক, জাজপুরসহ আট লাখেরও বেশি মানুষকে উড়িষ্যার উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  ৮৭৯-এরও বেশি সাইক্লোন শেন্টার তৈরি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষদের এ সাইক্লোন শেন্টারেই আপাতত রাখা হয়েছে।  নৌবাহিনী, উপকূল রক্ষা বাহিনী এবং বির্পযয় মোকাবিলা বাহিনীর ৭৮টি দল ইতোমধ্যে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে পাঠানো হয়েছে। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু