আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন মুস্তাফিজ

ই-বার্তা।।  মাঝে দুটো ম্যাচ তার আত্মবিশ্বাসে বেশি নাড়া দিয়েছিলো। আবার সর্বশেষ ৪ উইকেটও  পেয়েছিলেন গত বছর এশিয়া কাপে। তারপর থেকে খুব ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। কিন্তু গত দুই ম্যাচে যতো রান খরচ করেছেন, তাতে আত্মবিশ্বাসটা নড়ে যাওয়ারই কথা।

এই দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৯৩ ও ৮৪ রান খরচ করেছিলেন। এই সময়ে, বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ফিরে পেতে বাড়তি কিছু একটা লাগতো। সেটা অবশেষে আয়ারল্যান্ডেই পেলেন। ডাবলিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পথে ৪ উইকেট নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন; ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরষ্কার পেলেন।

মুস্তাফিজ বলছেন, বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই পারফরম্যান্স তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে, ‘ভালো করলে আত্মবিশ্বাস সবসময় ভালো থাকারই কথা। প্রথম ম্যাচটা ভালো হয়নি, এটা ভালো হলো। বিশ্বকাপ আছে সামনে। চেষ্টা করব ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে।’

২০১৭ সালে এই ডাবলিনেই সর্বশেষ ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ পুরষ্কার পেয়েছিলেন। এতোদিন পর আবার পুরষ্কারটা পেয়ে মুস্তাফিজ বলছিলেন, পরের বারের জন্য আর এতো অপেক্ষা করতে চান না, ‘ভালো লাগছে, অনেক দিন পর পেলাম (ম্যান অব দা ম্যাচ)। প্রথম উইকেট পাওয়ার পর আত্মবিশ্বাস পেয়ে গিয়েছিলাম। আর স্লগ ওভারে তো বল করতে করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি এখন। পরেরটা (ম্যান অব দা ম্যাচ) এত দেরিতে না পেলেই হয়!’

মুস্তাফিজ অবশ্য তার মাঝে খারাপ সময়টার ব্যাখ্যাও জানেন। তাকে নিয়ে এখন ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুতি অনেক বেশি থাকে। এই সময়ে ভালো করা কঠিন বলেই তাই মানছেন এই পেসার, ‘নতুন একজন বোলার এলে তার সম্পর্কে অনেকে জানে না। এখন আমার সম্পর্কে অনেকে জানে যে আমি এটা করি বা ওটা। আগে বেশিরভাগ সময় আমার বোলিংয়ে ক্যাচ হয়ে যেত। এখনও হয়, মারতে গেলে। আগে মারতে না গেলেও উইকেট পেতাম। আর শুরুতে আমি দেশে খেলেছি। ইনজুরির পর বিদেশে বেশি খেলেছি। দেশের উইকেট হলে আগের মুস্তাফিজই বেশিরভাগ সময় পাওয়া যেত। ওখানে বল-টল ধরে, ঘুরে।’

মুস্তাফিজের এই কথার সত্যতাও ফুটে ওঠে পরিসংখ্যানে। কাঁধের অস্ত্রোপচারের আগে ক্যারিয়ারের প্রথম ৯ ওয়ানডেতে তিনবার পেয়েছিলেন ৫ উইকেটের স্বাদ। সবগুলি ম্যাচই ছিল দেশের মাটিতে। যেখানে তার স্লোয়ার ও কাটারগুলো ধরে বেশ, কার্যকরও বেশি। নিখাদ ব্যাটিং উইকেটে সেই কার্যকারিতা থাকে না অনেক সময়।

সবমিলিয়ে মুস্তাফিজ মনে করেন আবহাওয়াটা একটু পক্ষে ছিলো, তাই জ্বলে উঠতে পেরেছেন। একটু গরম হলে তবেই তাকে খুঁজে পাওয়া যায় বলে নিজেই বলছিলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি। আমাদের দেশে গরম, এখানে ঠাণ্ডা। ঠাণ্ডায় আমার কষ্ট হয় খুব। আমাদের দেশে ৩২-৩৩ ডিগ্রিতে খেলে এসেছি। এখানে ৭-৮ ডিগ্রি। একটু তো কঠিনই। আস্তে আস্তে ঠিক হচ্ছে। এখন গরম হচ্ছে একটু।