আদালতে ৫ ঘণ্টার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিয়াকতের

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বহিষ্কৃত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত প্রাঙ্গণে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে লিয়াকত আলী নিজ ইচ্ছায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে আগ্রহ জানান। তারপর তাকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা কী তথ্য দিয়েছেন সে বিষয়ে তিনি কিছু জানানি।

আজ রোববার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নীচতলায় অবস্থিত কক্সবাজার সদর জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৪ এর বিচারক তামান্না ফারাহ’র খাস কামরায় জবানবন্দি দিতে নেওয়া হয় লিয়াকত আলীকে। প্রায় চার ঘণ্টা ৪৫ মিনিট লিয়াকত আলীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন বিচারক। বিকেলে প্রিজনভ্যানে করে তাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে আদালতে করা হত্যা মামলার প্রধান আসামি পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী গত ৬ আগস্ট টেকনাফ উপজেলা জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

এ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া চতুর্থ আসামি লিয়াকত আলী। এর আগে একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মামলার অপর তিন আসামি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) এর তিন সদস্য। তারা হলেন-সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহাজাহান, কনস্টেবল সজীব ও আবদুল্লাহ। তাদের মধ্যে ২৬ আগস্ট শাহাজাহান এবং ২৭ আগস্ট সজীব ও আবদুল্লাহ জবানবন্দি দেন আদালতে।

মামলার প্রধান তিন আসামি বহিস্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক নন্দদু্লাল রক্ষিতকে তৃতীয় দফায় তিন দিন করে রিমান্ডে র‍্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয় গত ২৮ আগস্ট। আজ রোববার এই তিনজনের রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হবে। কাল সোমবার তাদের আদালতে হাজির করা হবে। বর্তমানে প্রদীপ কুমার দাশ ও নন্দদুলাল রক্ষিতকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।