আবরারের জন্য অপেক্ষায়, হাঁটতে চেয়েছিলেন শিশিরভেজা পথে

বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) এর শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে একটি খোলাচিঠি লিখেছিলেন অজ্ঞাত এক ‘তরুণী’। আবেগ নিঙড়ানো ওই পোস্টে আবরারের সঙ্গে শিশির ভেজা পথে হাঁটতে চেয়ে লিখেছিলেন, ‘আমি কিন্তু অপেক্ষায় থাকলাম।’ ২০ জুন, ২০১৯ এর একটি ফেসবুক পোস্টে এই আকুতি জানিয়েছিলেন ওই তরুণী।

ওই ‘তরুণী’র অপেক্ষা শেষ হয়েছিলো কিনা জানা যায়নি। কিন্তু শিশিরভেজা পথে হাঁটতে চাওয়ার ইচ্ছা যদি পূরণ না হয়ে থাকে তবে তা আর কখনোই পূরণ হওয়ার নয়! স্নিগ্ধ শিশিরের মায়া যে ত্যাগ করেছেন আবরার। এই প্রকৃতি তাকে আর আগের মতো আকর্ষণ করে কিনা সন্দেহ।

বুয়েট’১৭ ক্রাশ এন্ড কনফেশনস অফিসিয়াল নামে ফেসবুকে পেজে দেয়া ওই পোস্টে নিজের নাম পরিচয় দেননি ওই ‘তরুণী’। নিচে শুধু লিখেছেন, সামওয়ান ফ্রম ডিএমসি কে-৭৬। এই পেজের পোস্টগুলো সাধারণত কারো প্রতি আবেগ ভালোবাসা সম্বলিত খোলা চিঠির মতো। ওই পোস্টের কমেন্টে বেশ কয়েকজন আবরার ফাহাদকে মেনশন করলেও তার কোনো রিপ্লাই চোখে পড়েনি।

গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। এরমধ্যে চার মাস আগের সেই পোস্টটি নিয়ে ফেসবুকে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

এরইমধ্যে পোস্টটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ১২শ’ বার। মন্তব্যও পড়েছে কয়েক হাজার। যেখানে Antor Bosu Antu নামে একজন লিখেছেন, শিশির ভেজা পথে হাঁটার জন্যে এ অপেক্ষার কোনো সীমা নেই। অনন্ত মহাকাশের অন্তে হারিয়ে যাওয়া যাত্রী কখনো আর ফিরে আসে না। তাই এ অপেক্ষা শেষ হবার নয়। হয়ত কোনো একদিন কোনো অচেনা জায়গায় হঠাৎ করেই সাক্ষাত হয়ে যাবে। অপেক্ষাটা শুধু সেদিনের জন্য।

Sumon Khan লিখেছেন, আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, যার সাথে আপনি শিশির ভেজা পথে হাঁটতে চেয়েছিলেন তাকে আমরা বাঁচাতে পারিনি।