আমিও বিদেশে রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ করেছি : তথ্যমন্ত্রী

ই- বার্তা ডেস্ক।। কোনো পেশাই অসম্মানের নয় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি নিজেও বিদেশে রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ করেছি।

চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে হোটেল বয় হিসেবে কর্মরত চলচ্চিত্র পরিচালক অরণ্য পলাশকে অর্থসহায়তা দেয়ার সময় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। অরণ্য পলাশকে ব্যক্তিগতভাবে এক লাখ টাকা দেন হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে যখন বিদেশে পড়াশোনা করতাম, তখন হোটেল-রেস্তোরাঁয় কাজ করতাম। অর্থাৎ আমি নিজেও টি-বয়ের কাজ করতাম, সেখানে টি-বয় বলে না, ওয়েটার বলে। এটি বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই যে, আমি সেই কাজ করতাম। একদিন দুদিন নয়, আমি বিদেশে অনেক দিন ছিলাম মাস্টার্স ও ডক্টরেট করার জন্য। সেখানে অনেক দিন কাজ করেছি, মাসের পর মাস। কোনো কাজই অসম্মানের নয়।’

তিনি বলেন, ‘অরণ্য পলাশের এই পরিস্থিতি দেখে আমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব- সবার সাথে আলোচনা করেছি যে, তাকে আমরা কোনোভাবে সহায়তা করতে পারি কি-না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ তাকে ডেকেছি ব্যক্তিগতভাবে আমার পক্ষ থেকে সহায়তা করার জন্য। কারণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহায়তা করতে হলে একটা প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। আপনারা জানেন, সরকার যে অনুদান দেন, সেটার একটা কমিটি আছে, সেই কমিটির মাধ্যমে অনুদান অনুমোদন হতে হয়।

‘কমিটির সাথে আমি কথা বলবো, তার (অরণ্য পলাশ) এই চলচ্চিত্র (গন্তব্য) যাতে মুক্তি পায়, সেজন্য আরও কী খরচ দরকার, কিছু খরচ তো সে করে ফেলেছে। আর কী সহায়তা দরকার, কমিটির সাথে সেটি আলোচনা করবো।’

অরণ্য পলাশের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুরুতেই বলেছি যে আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করেছি, অর্থাৎ টি-বয়ের কাজ করেছি, সুতরাং আপনার মনে কষ্ট পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’

এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, অরণ্য পলাশের নির্মিত ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক এলিনা শাম্মীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।