আমিতো উঁচুমাপের অভিনেতা নই, দয়া করে লোকে কাজ দেয় !

ই- বার্তা ডেস্ক।। আমার যা চেহারা, আমার তো অভিনেতা হওয়ার কোনো চান্সই ছিল না। আমার অভিনয় গুণ অনেক কম ছিল। কিন্তু আমি জানি না কেমন করে হয়ে গেল। অনেক মার খেয়েছি, বকা খেয়েছি, অনেক ঘাম ঝরিয়েছি, পরিশ্রম করেছি। যতখানি শিখেছি তা আমার শিক্ষক, বাবা-মা, পিসে মশাই এবং পরিচালকদের কাছ থেকে শিখেছি! প্রত্যেকের গাইডেন্স নিয়মিত অনুসরণ করেছি।

কথাগুলো বলেছিলেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্ত্তী। যিনি ফেলুদা হিসেবেও দর্শকদের নিকট দারুণভাবে পরিচিত। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন।

সব্যসাচী বলেন, আমিতো উঁচুমাপের অভিনেতা নই। দয়া করে লোকে কাজ দেয়। কয়েকটা জায়গায় আমাকে ভালো লেগে গেছে বলেই লোকে আমার সঙ্গে ছবি তুলতে অনেক এক্সাইটেড ফিল করে, অনেক অটোগ্রাফ নেয়। তার মানে যে, আমি খুব ভালো অভিনয় করতে পারবো তার কোন গ্যারান্টি নেই।

তিনি বলেন, অনেকে আমাকে বলে আমার গলা বেশ ভারি। আমার নাকি আবৃত্তির গলা। ভারি গলা হলেই যে আমি ভালো আবৃত্তি করতে পারব তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তাহলে আজকে যদি আরেফিন ভাই মনে করেন, আমি সাংঘাতিক জানি এবং আমার নামেই ছবি চলবে এটা কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না। এই ছবিটা চলবে এর পেছনে যে টিমটা আছে তাদের প্রত্যেকের পরিশ্রমের ফলে। বললেন এই অভিনেতা।

বাংলাদেশের গণ্ডি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন সব্যসাচী চক্রবর্ত্তী। সেপ্টেম্বরে ঢাকার একটি ক্লাবে নিজের সম্পর্কে অকপটে এভাবেই বলে যাচ্ছিলেন। মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছিল শ্রোতারা। ছবিটির পরিচালক ফখরুল আরেফিন।

ওই অনুষ্ঠানে সব্যসাচী বলেন, আরেফিন ভাই যে আমাকে এ ছবির জন্য ভাবলেন, এটাই আমার কাছে আশ্চর্য লেগেছে। কেননা আমি সারাজীবন হয় পুলিশ, নয় গুণ্ডা, নইলে গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করে যতদূর আসা সম্ভব হয়েছে, এগিয়েছি। প্রথম জীবনে হয়ত দু’একটা করেছি। তবে চেহারার কারণে আমাকে আর কেউ এমন চরিত্রে ডাকেনি।

সহঅভিনেতা হিসেবে সুবর্ণা মুস্তাফাকে পেয়েও দারুণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, আমার সৌভাগ্য যে, আমি এমন একজন অভিনেত্রীর বিপরীতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি যিনি অসম্ভব জনপ্রিয়, অসম্ভব জানেন। আরও একজন আছেন আমার সহ-অভিনেতা হিসেবে। তাদের সঙ্গে কাজ করে আমি এতটুকু বুঝেছি যে, আমি হ্যাঁ বলে ভুল করিনি।

সব্যসাচীর বক্তব্য