আমি গর্ব করে বলতে পারি, আমি মিডিয়ার তালাকপ্রাপ্ত একজন মেয়ে : বাঁধন

ই-বার্তা ডেস।। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কমবেশি সব বয়সের মানুকে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করাকে সাইবার বুলিং বলা হয়। কিছু অসাধু মানুষের কারণে প্রতি নিয়তই সাইবার বুলিংয়ের স্বীকার হচ্ছেন অনেকে।

সাইবার বুলিং নিয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে এরই মধ্যে মুখ খুলেছেন অনেকে। সেই তালিকায় আছেন শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও। সম্প্রতি সাইবার বুলিং নিয়ে মুখ খুললেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।

ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘আমি স্বতঃস্ফূর্ত, স্বতন্ত্র একজন নারী, একজন সিঙ্গেল মাদার, একটা সুন্দরী কন্যার মা এবং ৩৬ বছর বয়সী এই আমি বাংলাদেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক। আর হ্যাঁ, আমি গর্ব করে বলতে পারি, আমি মিডিয়ার তালাকপ্রাপ্ত একজন মেয়ে। আমার জীবন এবং শরীরেও ত্রুটি রয়েছে।’

বাঁধন আরও লিখেছেন, আর্থিক, মানসিক ও শারীরিকভাবে স্বামী ছাড়া কীভাবে আমি আমার দিনগুলো কাটাচ্ছি, তা আপনার উদ্বেগের বিষয় নয়! এটি একান্তই আমার জীবন এবং আমার উদ্বেগ। আপনাকে বিরক্ত না করে যদি আমি নিজেকে পরিচালনা করতে পারি তাহলে আপনি আমার পেশা, আমার জীবন এবং আমার কাপড়-চোপড়ের বিচার করার চেষ্টা করবেন না।

বাঁধন লিখেছেন, এমনকি আমাকে জিজ্ঞেস করা বা আপনার অপ্রাসঙ্গিক মতামত প্রকাশের চেষ্টাও করবেন না, যা আমাকে বিরক্ত করা ছাড়া কিছুই করবে না। সময় ও মস্তিষ্ককে নিজের জন্য বিনিয়োগ করুন, যা আপনাকে আপনার দেশের জন্য আরও ভালো মানুষ, উন্নত নাগরিক হতে সহায়তা করবে।

অতীতের প্রসঙ্গে টেনে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘একটি সময় ছিল যখন আমি এসব সামাজিক ও সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে খুব ভয় পেয়েছিলাম। আমি এতটাই অসহনীয় আঘাত পেয়েছি, যা কথায় ব্যাখ্যা করতে পারব না। যে কেউ যখন অস্বাভাবিক মন্তব্য করেন প্রতিনিয়ত তখন সেই পরিস্থিতি গ্রহণ করা এতটাও সহজ নয়, আমার জন্য সহজ ছিল না।

বাঁধন লেখেন, সুতরাং দয়া করে কারও পরিস্থিতি না জেনে তার সম্পর্কে কোনো রায় দেবেন না। আপনি যদি সহানুভূতি দেখাতে না পারেন তবে দয়া করে তাদের ক্ষতি করবেন না।

আপনার কঠোর শব্দ, কঠোর ক্রিয়া এমনকি আপনার কঠোর চেহারা থেকে তাদের বিরতি দিন। আমাকে কখনো বিচার করতে আসবেন না। কারণ আপনি আমার পথে চলেননি।

শেষে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, সর্বশেষ কিন্তু সর্বনিম্ন নয়, সামাজিক এবং সাইবার বুলিং একটি কৌতুক নয় অপরাধ। সুতরাং সামাজিক ও সাইবার বর্বরতা বন্ধ করুন এবং নিজের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।