আরও একরাত জেলে থাকতে হবে সালমানকে

ই-বার্তা।।  ভাইজান ভক্তরা ভেবেছিল, মোটে তো একটা রাত৷ কোনও রকমে জেলে থেকে কাল ঠিক জামিন পেয়ে যাবেন ভাইজান৷দাবাং সুপারস্টারও হয়তো তাই আশা করেছিলেন৷ কিন্তু আশা ফলপ্রসু হল না৷ বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার ফের জেলেই কাটাতে হবে সালমান খানকে৷ যোধপুর সেশন কোর্ট জামিনের আবেদনের সময় পিছিয়ে দিয়েছেন৷

১৯৯৮ সালে  অক্টোবরে রাজস্থানে হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শুটিং চলছিল৷ শুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেন সালমান খান৷ অভিযোগ ছিল তেমনই৷ বৃহস্পতিবার যোধপুর সেশন কোর্টে তা প্রমাণিত হয়েছে৷

শাস্তিস্বরূপ ৫ বছরের জেল হয়েছে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের৷ সেই সঙ্গে জরিমানা হয়েছে ১০ হাজার টাকা৷ বৃহস্পতিবার রাত তাঁর কাটে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে৷ সালমানকে কারাদণ্ডের আদেশ শোনানোর পরপরই তাঁর আইনজীবী এইচ এম সারস্বত সেশন কোর্টে জামিনের আবেদন করেন৷

সালমানকে সাজা শোনানোর সময় বিচারক বলেন, তিনি সুপারস্টার৷ অনেকের কাছেই রোল মডেল। তাঁর আরও সতর্ক হওয়া উচিত৷ আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার খত্রি তাঁর জাজমেন্টে লেখেন, অভিযুক্ত একজন বিখ্যাত অভিনেতা৷ অনেকেই তাঁকে অনুসরণ করেন৷ অথচ তিনিই অভিযুক্ত৷ তার উপর তিনি ২টি কৃষ্ণসার মেরেছেন৷

সালমান খানের সঙ্গে অভিযুক্তের তালিকায় ছিলেন সাইফ আলি খান, টাবু, নীলম ও সোনালি বেন্দ্রে৷ কিন্তু আদালত তাঁদের বেকসুর খালাস করে৷

আপাতত ১০৬ নম্বর কয়েদি হয়ে শ্রীঘরে রয়েছেন ভাইজান বিশেষ কোনও সুবিধা তিনি পাচ্ছে না৷ তবে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে রয়েছেন বলিউডের টাইগার৷ জেলে A ক্যাটেগরিতে তাকে রাখা হয়েছে৷

রাতে খুবই সাধারণ খাবারই দেওয়া হয়৷ জেল ম্যানুয়াল অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে অন্যান্য বন্দিদের বেগুনের তরকারি, ডাল এবং রুটি দেওয়া হয়৷ তবে সলমনকে বেগুনের পরিবর্তে দেওয়া হয় বাঁধাকপি৷ কিন্তু এর কোনওটিই মুখে তোলেননি সলমন৷

জেলের বন্দিদের সপ্তাহে একদিন মিষ্টি দেওয়া হয়ে থাকে৷ তবে হোলি, দিপাবলী, ইদ এবং ১৫ অগস্টে হালুয়া তৈরি হয় তাদের জন্য৷ তবে সলমন চাইলে পৃথভাবে দুধ, কর্ণফ্লেক্স, গ্লুকন ডি, ফ্রুট জুস, শরবত, মিক্স জ্যাম, ছাঁচ দই, কোনও একটি ঋতুভিত্তিক ফল কিন্তু পারেন৷ কয়েদিরা নিজেদের উপার্জন থেকে এই সব কিনতে পারে৷