আর্থিক সংকটে ভুগছে রাষ্ট্রায়ত্ত ৯ পাটকল

ই-বার্তা ডেস্ক।।  খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকল চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে।  শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মজুরি, বেতন, পিএফ, গ্র্যাচুইটি, পাট ক্রয়ের দেনা এবং ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে দেনায় জর্জরিত পাটকলগুলো।  

দেনার কারণে নিয়মিত শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি ও বেতন পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে পাটকলগুলো। এদিকে পাটকলগুলোতে বর্তমানে ২৭০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার পাটপণ্য মজুত রয়েছে। আর্থিক সংকটে থাকা পাটকলগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

অপরদিকে বকেয়া মজুরি প্রদান ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছেন শ্রমিকরা। গত ১৭ নভেম্বর কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর আমরণ গণঅনশন কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে তাদের। তবে, সারাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মজুরি ও বেতন বাবদ ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। গত ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত খুলনা অঞ্চলের ৯টি পাটকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের ৪৪ কোটি ৬৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকা বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে। গত বুধবার থেকে শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের বকেয়া পাওনা পেতে শুরু করেছেন।

বিজেএমসি সূত্র জানায়, খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, আলীম, ইস্টার্ন, জেজে আই ও কার্পেটিং জুট মিলের বেতন বাবদ ১৪ কোটি ২৫ লাখ ৭১ হাজার টাকা, মজুরি বাবদ ৪৮ কোটি ১৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, পিএফ বাবদ ৯২ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, গ্র্যাচুইটি বাবদ ২৩৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, পাট ক্রয়ের দেনা বাবদ ১৭৩ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার টাকা, ব্যাংকের দেনা ৫৬২ কোটি ১৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা এবং অন্যান্য খাতে ৬৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা দেনা রয়েছে। সব মিলিয়ে মিলগুলোর দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯৬ কোটি ৩২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু