আহমেদ শফির বক্তব্যে আমি হতবাক ও বিস্মিত হয়েছি: ফখরুল

ই-বার্তা ডেস্ক।।  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নারী শিক্ষা নিয়ে হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমেদ শফীর করা বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপি মহাসচিব বলেন, মেয়েদের স্কুল-কলেজে না পাঠানোর জন্য হেফাজতের আমিরের বক্তব্যে আমি হতবাক ও বিস্মিত হয়েছি। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে এ ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিব্রত করবে।

বিবৃতিতে  আল্লামা শফী নারী শিক্ষা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির সহদফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন প্রেরিত ওই বিবৃতি বলা হয়, নারী শিক্ষার সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই। বিএনপি মনে করে নারী সুশিক্ষায় আলোকিত না হলে তাদের বিকাশ ও প্রকৃত ক্ষমতায়ন হবে না।

মির্জা ফখরুল  বিবৃতিতে বলেন, সামাজিক অন্যায় ও বৈষম্য দূর করার জন্য অবশ্যই নারীর শিক্ষা অপরিহার্য। বাংলাদেশের মোট জনসমষ্টির অর্ধেকই নারী, প্রাচীন প্রথা ও কুসংস্কারের নিগড় থেকে বেরিয়ে এসে জাতি গঠনমূলক ও জাতীয় অর্থনীতিতে যথার্থ ভূমিকা পালনের প্রধান শর্ত হচ্ছে নারী শিক্ষা।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার জুমআর নামাজের পর মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ১১৮তম মাহফিল ও দস্তারবন্দি সম্মেলনে বক্তব্য দেন হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

বক্তব্যে  তিনি বলেন, আপনাদের মেয়েদেরকে স্কুল-কলেজে বেন না। বেশি হলে ক্লাস ফোর-ফাইভ পর্যন্ত পড়াতে পারবেন। আর বেশি যদি পড়ান পত্রপত্রিকায় দেখতেছেন আপনারা। ওই মাইয়া (মেয়ে) ক্লাস এইট, নাইন, টেন, এমএ ও বিএ পর্যন্ত পড়ালে কিছু দিন পর আপনার মেয়ে থাকবে না। তাই আপনারা আমার সঙ্গে ওয়াদা করেন। বেশি পড়ালে আপনার মেয়েকে টানাটানি করে অন্য পুরুষ নিয়ে যাবে। আমার এ ওয়াজটা মনে রাখবেন।

এর ঠিক একদিন পর গত শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা শফী দাবি করেন, মাহফিলে দেয়া তার বক্তব্যের একটি খণ্ডাংশ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ই-বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম