ইতিহাস গড়ে ফাইনালে টটেনহ্যাম

ই-বার্তা ডেস্ক।।  মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফুটবলবিশ্ব সাক্ষী হলো দুটি অন্যতম বড় অঘটনের।  প্রথমে লিভারপুলের কাছে বার্সেলোনার অপ্রত্যাশিত হার এবং পরে আয়াক্সের বিপক্ষে টটেনহ্যামের অবিশ্বাস্য জয়।       

টুর্নামেন্টে জায়ান্ট কিলার হিসাবে খ্যাতি পাওয়া আয়াক্স টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে প্রথম লেগের অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-০ গোলে জয় তুলে নিয়েছিল।  জুভেন্টাস ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো চ্যাম্পিয়ন দলকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেওয়া আয়াক্স ঘরের মাঠে টটেনহ্যামকে আটকে দেবে, এমনটাই ধরে নিয়েছিল ফুটবলবিশ্ব।

ফিরতি লেগের প্রথমার্ধেই আয়াক্স ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় টুর্নামেন্ট থেকে হটস্পারের বিদায় কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু নাটকের শেষ দৃশ্যের তখনও বাকি।  দ্বিতীয়ার্ধে টটেনহ্যামেরর দুরন্ত ফুটবলে দিশেহারা আয়াক্স এমন অসহায় আত্মসমর্পণ করবে, তা ভাবা যায়নি। লুকাসের একক আগ্রাসনে খেই হারিয়ে আয়াক্স শেষ পর্যন্ত হার মানে ২-৩ গোলে।  প্রবল চাপের মুখে এমন বড় মঞ্চে হ্যাটট্রিক করে টটেনহ্যামকে অবিস্মরণীয় রাত উপহার দেন লুকাস মউরা।  

টটেনহ্যামের এই ম্যাচে জয়ের অর্থ দুই লেগ মিলিয়ে সেমিফাইনালের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-৩। আয়াক্সের একটি অ্যাওয়ে গোলের তুলনায় টটেনহ্যামের তিনটি অ্যাওয়ে গোল এক্ষেত্রে নির্নায়ক হয়ে দাঁড়ায়।  অ্যাওয়ে গোলর ভিত্তিতেই আয়াক্সকে পিছনে ফেলে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠে টটেনহ্যাম। 

এদিন জোহান ক্রুয়েফ এরিনায় ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় লাস শোনের পাস থেকে গোল করে আয়াক্সকে এগিয়ে দেন ম্যাথিস ডি’লাইট।  ৩৫ মিনিটে দুসান তাদিচের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুন করেন হাকিম জিয়েচ।  এরপর লুকাস ৫৫ মিনিটে ডেলে আলি ও ৫৯ মিনিটে ভেল্টম্যানের পাস থেকে গোল করে টটেনহ্যামকে সমতায় ফেরান।  ইনজুরি টাইমের একদম শেষ মুহূর্তে (৯০+৬ মিনিট) ডেলে আলির পাস থেকেই আয়াক্সের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন লুকাস।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু