ইনজেকশনের ভয় ৫ তলা থেকে লাফ দিলেন রোগী

ই-বার্তা ।।  ইনজেকশনের ভয় অনেকেরই আছে। কিন্তু ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক নারী ইনজেকশনের ভয়ে যা করেছেন সেটা অকল্পনীয়। রোববার দুপুরে নার্স ওই নারীকে ইনজেকশন দিতে গেলে তিনি সরকারি হাসপাতালের পাঁচতলার জানলা দিয়ে ঝাঁপ দেন। তার এ কাণ্ডে স্বজনরাও বিমূঢ় হয়ে পড়েন।

এদিন দুপুর তিনটার দিকে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালের পাঁচতলার জানলা দিয়ে লাফ দেন পিংকি মজুমদার নামের ওই নারী। গুরুতর আহত হয়ে তিনি বর্তমানে আরজিকর হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

হাসপাতালটির সুপার মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। তাই আমরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। তবে শোনা যাচ্ছে, ইনজেকশনের ভয়ে এই কাজ করেছেন পিংকি। আর এখানেই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেবল ইনজেকশনের ভয়ে এমন কাজ কেউ করতে পারে কিনা।

জানা গেছে, পিঙ্কি মজুমদারের (৩০) বাড়ি হাবড়ায়। কয়েকদিন আগে আরজিকরের নারী ওয়ার্ডে ভর্তি হন সন্তানসম্ভবা পিংকি। শুক্রবার একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন তিনি। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। রোববার সকালে আইসিইউ থেকে তাকে আবারও নারী ওয়ার্ডে আনা হয়।

তার পাশের বেডে থাকা অন্য এক রোগী জানান, রোববার দুপুর তিনটার দিকে নার্স তাকে ইনজেকশন দিতে আসেন। এটা দেখেই বিছানা থেকে নেমে পড়েন পিংকি। নার্স তাকে ছুটে গিয়ে ধরার আগেই জানলা দিয়ে লাফিয়ে নিচে পড়েন তিনি। ওই জানলায় কোনো শিক ছিল না। মাটিতে পড়ে উঠে পালাতে যান পিংকি। কিন্তু মাথায় হাতের আঘাত গুরুতর হওয়ায় দৌড়ে পালাতে পারেননি তিনি।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গুরুতর আহত পিংকির অবস্থা সংকটাপন্ন। তবে তিনি কি পালাতে চাইছিলেন? নাকি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন? এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ইনজেকশনের ভয়েই জানলা দিয়ে লাফ দিয়েছেন পিংকি। তবে তার পরিবারের সদস্যরা এ কথা মানতে নারাজ। এটি পিংকির দ্বিতীয় সন্তান। হাসপাতালের এক চিকিৎসকের দাবি, এর আগেও একাধিকবার তাকে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। ইনজেকশনের ভয়ে তিনি লাফ দিয়েছেন এমন যুক্তি তাই ধোপে টিকছে না। ঘটনার পর স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়। পিংকি আদৌ  মানসিকভাবে সুস্থ কি-না সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।