ইরাকে মার্কিন দূতাবাসে হামলায় ইরাকে আরও সৈন্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ই-বার্তা ডেস।। ইরাকে মার্কিন দূতাবাসে হামলা-ভাংচুর এবং নিরাপত্তা চৌকিতে অগ্নিসংযোগের পর দেশটিতে আরও সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে এবং দূতাবাসের নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়েছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার ইরাকে তাৎক্ষণিকভাবে আরও সাড়ে সাতশ’ সৈন্য মোতায়েন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন স্থাপনা ও কর্মকর্তাদের ওপর হুমকির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে যথোপযুক্তভাবেই এই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

নিরাপত্তার জন্য পাঠানো অতিরিক্ত সেনারা কয়েক দিনের মধ্যেই দেশটিতে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে কুয়েত থেকে সাড়ে সাতশ’ সেনা ইরাকে পাঠানো হবে। সামনের দিনগুলোতে ওই অঞ্চলে চার হাজারের মতো সৈন্য পাঠানোরও প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের মোকাবেলায় দূতাবাসের নিরাপত্তা রক্ষীরা স্টান গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছিল, নিরাপত্তা চৌকিতে আগুন ধরিয়ে দিলেও বিক্ষোভকারীরা মূল কম্পাউন্ডের ভেতর ঢুকতে পারেনি বলে নিশ্চিত করেছে ওয়াশিংটন।

ইরাকে এখনি পাঁচ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। রোববার ইরাকে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের ওপর মার্কিন বিমান হামলায় ২৫ জন নিহতের জেরে মঙ্গলবার মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় ক্ষুব্ধ একদল বিক্ষোভকারী।

দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবারও দূতাবাসের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় আগুন লাগায় এবং দূতাবাসের দিকে পাথর ছোড়েন ইরানপন্থী বিক্ষোভকারীরা। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর ইরানঘনিষ্ঠ মিলিশিয়ার নেতৃত্বাধীন এ বিক্ষোভ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে হাজির হয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

দূতাবাসে হামলার পরপরই ট্রাম্প এ ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। নববর্ষের সন্ধ্যায় টুইটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, যে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানির জন্য ইরানকে বড় ধরনের মূল্য দিতে হবে। এটা কোনো সতর্কবার্তা নয়, হুমকি। যদিও পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে তেহরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মার্কিন দূতাবাসে ইরাকি বিক্ষোভকারীদের হামলা-ভাংচুরের ঘটনায়ও তাদের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছে ইরান। এরপর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার ইরাকের ওই অঞ্চলে তাৎক্ষণিকভাবে আরও সাড়ে সাতশ’ সৈন্য মোতায়েন করা হবে বলে ঘোষণা দেন।