ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

ই-বার্তা ডেস্ক।।  ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।  ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন।  উপসাগরে ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হচ্ছে এবং কাতারে চারটি বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, তারা উপসাগরীয় অঞ্চলে আরও একটি যুদ্ধজাহাজ এবং প্যাট্রিয়ট ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করছে।  এই ব্যবস্থা আন্ত:মহাদেশীয় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও বিমান হামলা রুখতে সক্ষম।  যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস আরলিংটনের মধ্যপ্রাচ্যের দিকেই যাওয়ার কথা ছিল পূর্বনির্ধারিত সময়সূচী অনুসারে।  কিন্তু ইরানের সঙ্গে সামপ্রতিক উত্তেজনার পটভূমিতে এই জাহাজটি সেখানে অনেক আগেই পাঠানো হচ্ছে।  এই জাহাজে উভচর সামরিক যান এবং যুদ্ধবিমান পরিবহন করা যায়।  আর চারটি আমেরিকান বি-৫২ বোমারু বিমান কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে নেমেছে।

পেন্টাগন আরও জানিয়েছে, তারা ইরানের সাথে সংঘাত চায় না, কিন্তু মার্কিন সৈন্যদের বিরুদ্ধে হুমকি মোকাবেলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।  কিন্তু ঠিক কী ধরণের হুমকির মুখোমুখি মার্কিন সৈন্যরা হয়েছে তা খোলাসা করে বলা হচ্ছেনা।  ইরাকে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি মার্কিন সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। 

ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তার ফলে ইরানের অর্থনীতি দিনে দিনে সঙ্কটে নিমজ্জিত হচ্ছে।  এই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য যেন ইরান তাদের তেল অন্যদেশের কাছে বিক্রি করতে না পারে।  এছাড়া গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সবচেয়ে সুসজ্জিত বাহিনী রেভ্যুলিউশনারী গার্ডকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সমর প্রস্তুতিকে মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না ইরান।  তারা বলছে আমেরিকা ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ শুরু করেছে।  ইরান যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপের পাল্টা হিসাবে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি দিয়েছে।  বিশ্বে প্রতিবছর যত জ্বালানি তেল ব্যবহূত হয়, তার এক পঞ্চমাংশ সরবরাহ যায় এই হরমুজ প্রণালী দিয়ে।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু