ইরান থেকে তেল ক্রয় করলে শাস্তি পেতে হবেঃ যুক্তরাষ্ট্র
ই-বার্তা ডেস্ক।। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভারতের মতো বন্ধুরাষ্ট্রও যদি ইরান থেকে তেল আমদানি করে, তাহলেও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। ইরানের প্রতি এই আগ্রাসী মনোভাবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক ঝুঁকিতে থাকবে।
মার্কিন এ কঠিন পদক্ষেপের কারণে বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, বাজারে ইরানি তেল কমে গেলে সৌদি আরব সেই ঘাটতি পূরণ করবে।
হোয়াইট হাউসের ঘোষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অস্থিতিশীল তৎপরতার অবসানে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন ও তার মিত্ররা অনড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছর ইরানের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা জারি করলে প্রাথমিকভাবে আট দেশকে ছয় মাসের জন্য দেশটি থেকে তেল কেনায় ছাড় দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানি তেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতাদের একটি হচ্ছে ভারত। ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা স্বত্তেও ইরানকে হুমকি মানতে নারাজ ভারত।
পাকিস্তানকে পাশ কাটাতে ইরানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণে কাজ করছে ভারত। কাজেই একটি সূত্র জানায়, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের জটিলতা পর্যালোচনা করে দেখছে ভারত।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে চীন ও তুরস্ক। কাজেই ইরানি তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাষ্ট্র অটল থাকলে এ দুই দেশের সঙ্গে ওয়াশিংটনের নতুন বিতর্ক তৈরি হবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমরা কীভাবে সম্পর্ক স্থাপন করব, তা নিয়ে কোনো একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে আমরা গ্রাহ্য করব না। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জোর দিয়ে বলেছেন, আগামী ২ মের পর যেসব দেশ ইরান থেকে তেল কিনবে, তাদের শাস্তি পেতে হবে। তবে কীভাবে সাজা দেয়া হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলছি- যদি আপনি এ নীতি অমান্য করেন, তবে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। আমরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাব।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু