ইরানের ইসলামি বিপ্লব বিজয় উপলক্ষে ৬ দিনব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু

ই-বার্তা ।।  ইরানের ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের ৩৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে  ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্বাধীনতা, জাতীয় সক্ষমতা ও অগ্রগতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। 

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকার জাতীয় জাদুঘরে ৬ দিনব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত  হয় । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্বাধীনতা, জাতীয় সক্ষমতা ও অগ্রগতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় প্রদর্শিত হয় ইরানি চলচ্চিত্র ‘বডি গার্ড’।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক এমপি। তিনি ৬ দিনব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনও করেন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজী দেহনাভী, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম ও বুয়েটের সাবেক প্রফেসর ও প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব ড. এনামুল হক।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান।

বক্তারা বলেন, ১৯৭৯ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি ইমাম খোমেইনীর প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ইরানের সংগ্রামী জনগণ ইসলামি আদর্শে উজ্জীবিত এক বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা এবং বিজাতীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তির তাঁবেদার মুহাম্মদ রেজা শাহ ও তাঁর সরকারকে উৎখাত করে। ইসলামি বিপ্লবের পূর্বে রাজতান্ত্রিক সরকার সম্পূর্ণরূপে বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীল ছিল এবং এই সরকারের কাছে ইরানি জনগণের স্বার্থের চেয়ে বিদেশিদের স্বার্থই বেশি প্রাধান্য পেত। তাই স্বাধীনতা ও ইরানি জাতির ভাগ্যের ওপর বহিঃশক্তির কর্তৃত্বের অবসান ঘটানো ছিল বিপ্লবের সময়ের অন্যতম প্রধান স্লোগান। ইসলামি বিপ্লবের আশীর্বাদে এমন একটা সরকার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেখানে মুক্তি, স্বাধীনতা ও জনগণের চাওয়া পাওয়ার প্রতিফলন ঘটনোর পাশাপাশি বৃহৎ শক্তির কর্তৃত্ব খর্ব হয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, আট বছরব্যাপী যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ও একযুগেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ আরোপ করে ইরানকে সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে পঙ্গু করে সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে নতজানু ও আত্মসমর্পণে বাধ্য করার অপচেষ্টা ইরানি নেতৃত্ব সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর করে দিয়েছে। ফলে  বিপ্লব পরবর্তী গত ৩৯ বছরে ইরানে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পারমাণবিক বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও ন্যানোটেকনোলজিসহ সকল ধরনের জ্ঞানগবেষণা, সুস্থ সংস্কৃতি ও শিল্পকলা চর্চা এবং রুচিশীল চলচ্চিত্র নির্মাণ ইত্যাদিসহ জনজীবনের সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি-অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ১০-১৪ ফেব্রুয়ারি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে প্রতিদিন সকাল ১১টা ও বিকেল ৩টায় ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।