ঈদে কোরবানির পশুতে ভালো দাম পাওয়ার আশা খামারিদের

ই- বার্তা ডেস্ক।।   আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা। এবার যশোর জেলায় প্রায় সত্তর হাজার গরু, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে- যা চাহিদার তুলনায় দশ হাজার বেশি।

এবার বেশির ভাগ খামারিরা ক্ষতিকর হরমোন কিংবা ইনজেকশনের ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে গবাদি পশু পালন করছেন। এবার পশুর ভালো দাম পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছেন খামারিরা। ন্যায্য দাম নিশ্চিতে ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধের দাবি তাদের। ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হলে খামারিরা ভালো দাম পাবেন, পালনে উদ্বুদ্ধ হবেন বলে তারা জানান।

জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্র থেকে জানা গেছে, কোরবানি উপলক্ষে যশোরে ১০ হাজার ৮২৭টি খামারে ৭০ হাজার ৬২৪টি গরু ও ছাগল মোটাতাজা করা হচ্ছে। এরমধ্যে গরু ৩১ হাজার ৬২২টি ও ছাগল-ভেড়া রয়েছে ৩৯ হাজার দুটি। এবার জেলায় চাহিদা রয়েছে ৬০ হাজার গরু, ছাগল ও ভেড়া। সে হিসাবে জেলায় প্রায় ১০ হাজার পশু বেশি মজুদ রয়েছে। জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় এই পশু বিক্রি সম্ভব হবে। ভালো দামের আশায় বুক বেঁধেছেন খামারিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভবতোষ কান্তি সরকার জানান, জেলায় এবার কোরবানির উদ্বৃত্ত পশু রয়েছে। জেলার চাহিদা পূরণ করে অন্যান্য এলাকায় জোগান দেয়া সম্ভব হবে। পশুর শরীরে যাতে ক্ষতিকর ইনজেকশন পুশ না করতে পারে সেদিকে আমরা নজর রাখছি। একই সঙ্গে খামারিদেরও উদ্বুদ্ধ করছি। ভারতীয় গরু আসা বন্ধ হলে দেশীয় খামারিরা লাভবান হবেন।