উত্তর কোরিয়াকে মোকাবেলার লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন বাহিনী

ই-বার্তা ।।  দক্ষিণ কোরিয়া নতুন এক বাহিনী গড়ে তুলেছে উত্তর কোরিয়াকে সামরিক দিক থেকে মোকাবেলার লক্ষ্যে। আর সেটা হলো ড্রোন বাহিনী।

দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সামরিক কর্মকর্তাকে বলেছেন, আগামী বছর এই ড্রোন কমব্যাট ইউনিট চালু হবে এবং এর কারণে যুদ্ধের রীতিনীতি সম্পূর্ণ বদলে যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ সামরিক কর্মকর্তা বলছেন, “এই সেনা ইউনিট গঠন করা হবে ‘ড্রোনবট’ দিয়ে।” অর্থাৎ এতে ড্রোন থাকবে, সেই সাথে থাকবে রোবট।

উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত পরমাণু বোমা এবং আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মুখে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়া তার গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করতে চায় এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে চায়। গত ২৯শে নভেম্বর কিম জং-আনের নেতৃত্বাধীন পিয়ংইয়াং সরকার সর্বশেষ যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় তার পাল্লা যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত বলে দাবি করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন বাহিনীর মূল কাজ হবে দুটি। প্রথমত, ড্রোনগুলো দিয়ে শত্রুপক্ষের ওপর নজরদারী চালানে হবে। বিশেষভাবে উত্তরে কোরিয়া যেসব জায়গায় অস্ত্র এবং বোমার পরীক্ষা চালায় সেগুলোর দিকে নজর রাখা হবে। দ্বিতীয়ত, এই ড্রোন ঝাঁক বেধে শক্রর ওপর হামলা চালাতে পারবে।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির এমন উন্নতি হয়েছে যে ড্রোনগুলো একে অন্যের সাথে আরো ভালভাবে যোগাযোগ রাখতে পারে এবং ঝাঁক বেধে আক্রমণ চালাতে পারে।

গত বুধবার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাজেটে ৭% বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন। ২০০৯ সালের পর থেকে সামরিক বাজেট এতটা বাড়ানো হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী সং ইয়ং মু-এর মতে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ‘রূঢ় বাস্তবতার’ মুখেই বাজেটে ৪০০০ কোটি ডলার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

নতুন প্রযুক্তি গড়ে তুলতে এবং সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে তিনি জানান।

 

খবরঃ বিবিসি বাংলা