এই সংসদ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না: মির্জা ফখরুল

ই-বার্তা ডেস্ক।।   বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাদশ সংসদের অধিবেশনকে ‘অবৈধ’ দাবি করে বলেছেন, আজকে একটি সংসদের অধিবেশন বসতে যাচ্ছে। এ সংসদ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম সংসদ অধিবেশন বসার প্রতিবাদে একথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে দখলদার সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।গত ৩০ ডিসেম্বর একটি ভোট ডাকাতির ভুয়া নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার হরণ করে দখলদারি সংসদ ও দখলদারি সরকার বসিয়েছে।

ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর কোনো নির্বাচনই হয়নি। আমরা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের সঙ্গে ফলও প্রত্যাখ্যান করেছি। তখনই আমরা বলেছিলাম—একটি নিরপেক্ষ সরকার ও ইসির অধীনে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে। আজকে আমরা আবার একই দাবির পুনরাবৃত্তি করছি।

‘আমরা বলতে চাই—অবিলম্বে এ নির্বাচন বাতিল করে, এই সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সেখানে জনগণ যেন সুষ্ঠুভাবে তাদের রায় দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে’—যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপি মহাসচিব সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সরকার গঠনের দাবি জানান। 

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে পচাত্তরের মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৭৫ সালে তারা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। ঠিক একই কায়দায় আজকে তারা জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একদলীয় দখলদারিত্বের সংসদ গঠন করেছে।

তিনি বলেন, আজকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশের জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে এ রাষ্ট্রকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার সব ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করেছে আওয়ামী লীগ।

মানববন্ধনে বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। এই ভুয়া ভোটের সংসদের কোনো বৈধতা নেই।

ই-বার্তা/ শফিকুল ইসলাম