একজন নেতা গেলে আমি একলক্ষ লিডার তৈরি করিঃ মমতা

ই-বার্তা ডেস্ক।।  তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক গোপনে যোগাযোগ রাখছেন বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘যাকে নেওয়ার নিয়ে নাও।  আমার একজন গেলে আমি একলক্ষ লিডার তৈরি করি।’’

এ দিন ভদ্রেশ্বরে নির্বাচনী সভায় মমতা বলেন, ‘‘সাংবিধানিক পদে থেকে এমন কথা বলা যায় না।  আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত মিস্টার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।’’

জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা সোমবারই টুইট করে একে বিজেপির রাজনৈতিক ‘দেউলিয়াপনা’ বলেছিলেন।  এ দিন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব মোদীকে‘৭২ বছরের জন্যনিষিদ্ধ’ করা উচিত বলে টুইট করেন।সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও মোদীর সমালোচনা করে বলেন, ‘‘এমন কথা বলে তিনি বিধিভঙ্গ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কী ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন, কমিশনের তা দেখা উচিত।’’ সব মিলিয়ে বিষয়টি জাতীয় স্তরেবিরোধী ঐক্যের ছবি স্পষ্ট করছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অভিমত।

সোমবার শ্রীরামপুরের সভায় মোদী ৪০ জন বিধায়কের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন।  তাঁর দাবি, ২৩ মে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হলে ওই তৃণমূল বিধায়কেরা বিজেপিতে যোগ দেবেন।

এ দিনভদ্রেশ্বরের সভায় মোদীর বক্তব্যকেকটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘‘নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী। বেচা-কেনা করছেন।  হর্স ট্রেডিং করতে এসেছেন।  একজনকে জোগাড় করুন।  একজনকে কিনে দেখান।  আপনার দলের মতোআমার দল চোর নয়।’’

মোদীর উদ্দেশে মমতার হুঁশিয়ারি, ‘‘যে গদ্দারের গলায় হাত বোলাচ্ছেন, সে তো হাওয়ালার মালিক।  মামলাও চলছে। অন্য কোনও সরকার হলে এখনই গ্রেফতার করে রেখে দিত।  আমি বলে নির্বাচনের সময় কিছু করিনি।  ঔদ্ধত্য ভাল, অহংকার ভাল। অতি ঔদ্ধত্য ভাল নয়।  যে গদ্দারদের গদা দিয়ে বাংলা দেখছেন।  ওরাই আপনার আগামী দিনে কালসাপ হবে।’’

বিকেলেসালকিয়ার সভায় ফের এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মমতাবলেন, ‘‘টাকার কাছে যাঁরা বিক্রি হন, তাঁরা মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতক, গদ্দার।  আমরা টাকা দিয়ে লোক কিনি না।  বাংলার ছেলে মেয়েদের উপর আমার ভরসা আছে।’’

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু