এক জমির মালিকানা দাবি সরকারি দুই সংস্থার

ই-বার্তা ডেস্ক।। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরঘেঁষে রাজধানীর পোস্তগোলা শ্মশানঘাট এলাকার ২৭ শতাংশ জমি নিয়ে টানাহেঁচড়া চলছে সরকারি দুই সংস্থার মধ্যে। জমির দখল নিতে উভয়েই বসিয়েছে সাইনবোর্ড।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উভয়েরই দাবি জমিটি তাদের। বিআইডব্লিউটিএ সেখানে কয়েক মাস আগে উচ্ছেদ অভিযানও চালিয়েছে। ওই জমিতে লোহা উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের বিভিন্ন কারখানা রয়েছে। বুড়িগঙ্গা থেকে স্বল্পদূরত্বের এ জমিতে পাশাপাশি রয়েছে দুটি সাইনবোর্ড- একটি বিআইডব্লিউটিএর, অন্যটি ডিএসসিসির।

বিআইডব্লিউটিএর সাইনবোর্ডে লেখা- ‘ইহা মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন নম্বর ৩৫০৩/২০০৯-এর আদেশবলে ঢাকা নদীবন্দরাধীন বুড়িগঙ্গা নদীর উদ্ধারকৃত তীরভূমি। এখানে অবৈধ দখল/অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ’। আর ডিএসসিসির সাইনবোর্ডে লেখা- ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ভূমি। অত্র ভূমিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমতি ব্যতীত প্রবেশ নিষেধ’। সাইনবোর্ডগুলোর পাশেই পণ্যবাহী ট্রাক পার্ক করে রাখা হয়েছে। পাশেই লৌহজাত বিভিন্ন দ্রব্য নিয়ে কাজ করছেন শ্রমিকরা।

এক সময় সেখানে বড় স্থাপনা থাকলেও সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদের পর এখন বড় কোনো স্থাপনা নেই। স্থানীয় লোকজন জানান, সাইনবোর্ড টাঙানো অংশে দীর্ঘদিন ধরে দোকানপাট ছিল। গত জুলাইয়ে বিআইডব্লিউটিএ অভিযান চালিয়ে সেসব দোকান ভেঙে দেয়। এর কয়েক দিন পরই ডিএসসিসির লোকজন সাইনবোর্ড বসায়। এর দুদিন পর বিআইডব্লিউটিএও সেখানে সাইনবোর্ড বসায়। এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, জমিটি সিটি করপোরেশনের। শ্মশানঘাটের নামে এ জমিটি দেওয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ যে দাবি করছে, তার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।

দীর্ঘদিন ধরে এ জমি সিটি করপোরেশন ইজারা দিয়ে আসছে। বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ও ঢাকা নদীবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, ১৯৯১ সালের জরিপ অনুযায়ী এ জমি নদীর তীরভূমি। সদরঘাটে চাপ কমাতে শ্মশানঘাটে একটি লঞ্চ টার্মিনাল হবে বলেও জানান তিনি।