এফআর টাওয়ারে আগুন; কর্তৃপক্ষকে আগেই সতর্ক করেছিল ফায়ার সার্ভিস

ই- বার্তা ডেস্ক।।   ফায়ার সার্ভিস আগেই বনানীর এফআর টাওয়ারটি একাধিকবার পরিদর্শন করে এর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার বিভিন্ন ত্রুটির বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিল । এজন্য কিছু সুপারিশও করা হয়েছিল। তবে পরপর দু’বার নোটিশ করেও কাজ হয়নি তাদের। কর্তৃপক্ষ ভবনের ফায়ার সেফটি ইস্যুতে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করে নি।

অগ্নিকাণ্ডে ভবনমালিকদের গাফিলতির প্রমাণ স্পষ্ট বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা কিংবা সংকীর্ণ জরুরি বহির্গমন পথের প্রমাণও এর আগে পাওয়া যায়। এছাড়া ১৮ তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে ২৩ তলা করার কারণ হিসেবে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দিতে পারেনি ভবন কর্তৃপক্ষ।

২০০৫ সালে কাজ শুরু হওয়া ভবনটি চালু হয় ২০০৭ সালে। তখন থেকে ভবনের প্রায় অর্ধেক অংশের মালিকানা ফারুকের, বাকি অর্ধেক রূপায়ন গ্রুপের। ফারুক পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও এফআর টাওয়ারের তৃতীয় তলায় কনভেনশন সেন্টার ও ১৮ তলায় অফিস স্পেস নামে একটি বিজনেস সেন্টার রয়েছে। ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাসবিরুল ইসলামের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। ফারুকের পক্ষ থেকে তার ম্যানেজার কামাল হোসেন ভবনটি দেখাশোনা করতেন।

ফায়ার সার্ভিস সুত্রে  জানা গেছে, ভবনটির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি ছিল। এ বিষয়ে তাদেরকে একাধিকবার নোটিশ করা হলেও তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) দেবাশিষ বর্ধন জানান, এর আগে আমরা এফআর টাওয়ারটি একাধিকবার পরিদর্শন করি। ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার বিভিন্ন ত্রুটিসহ সেগুলো সমাধানে কিছু সুপারিশও করা হয়। এ বিষয়ে তাদের দুবার নোটিশও করা হয়। কিন্তু ভবন কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম