এবার ঈদে ফিতরা কত?

ই-বার্তা ।। এ বছর সর্বনিম্ন ফিতরা জনপ্রতি ৭০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ফিতরার হার সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা ও সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৮০ টাকা ছিল।

 

বুধবার সকালে ১৪৩৯ হিজরি সনের সাদকাতুল ফিতর নির্ধারণের লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ বছরের ফিতরার এ হার নির্ধারণ করা হয়।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইসলামি শরিয়া মতে আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির, যব ইত্যাদি পণ্যের যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। এক কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা আটা অথবা খেজুর, কিসমিস, পনির বা যবের মধ্যে সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোনো একটি পণ্যের ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়। ফিতরার জন্য নির্ধারিত ওজনের আটার দাম ৭০ টাকা, যবের দাম ৫০০ টাকা, কিসমিস ১৩২০ টাকা, খেঁজুর ১৯৮০ টাকা এবং পনিরের ২৩১০ টাকা ধরে এই ফিতরা হিসাব করা হয়েছে। এসব পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজারমূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।

 

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।

 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মোজাহারুল মান্নান, প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সালাম, অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের পরিচালক মাওলানা এ কে এম ফজলুর রহমান, পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান শিকদার, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেম প্রমুখ।