এ দেশে দুর্নীতিবাজদের কোনো ঠাঁই নেই : তোফায়েল আহমেদ

ই- বার্তা ডেস্ক।।   আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ মন্তব্য করেছেন যে, দলের দায়িত্বশীলদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। নেত্রী যে শুদ্ধি অভিযানে নেমেছেন তা সবাইকে সমর্থন করে পাশে দাঁড়াতে হবে। এদেশে দুর্নীতিবাজদের কোনো ঠাঁই নেই। যারাই দুর্নীতি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজ বুধবার দুপুরে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা এই বাংলার জমিনে আর আসবে না। একবার তিনি বাংলাদেশের মাটি হাতে নিয়ে চুমু খেয়ে কপালে লাগিয়ে বলেছিলেন, এই মাটি যেন হয় আমার ঠিকানা। তিনি সব সময় বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দেশ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন। সব সময় বলতেন, এ দেশ যেদিন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে সেদিনই আমি শান্ত হবো। আজ বঙ্গবন্ধু নেই, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রক্ত বয়ে গেছে এই বাংলার জমিনে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, অপকর্মকারী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনে সবাইকে একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব অপশক্তি মোকাবিলা করে কাজ করতে হবে।

দুঃখ প্রকাশ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এখন কর্মীকে মূল্যায়ন করা হয় না। নেতা হয়ে গেলেই কর্মীর কোনো খোঁজখবর রাখেন না। মনে রাখতে হবে, আপনাকে নেতা কে বানিয়েছে? কর্মী ছাড়া আপনি নেতা হলেন কীভাবে? যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেন, তবে অবশ্যই কর্মীকে মূল্যায়ন করবেন। কারণ বঙ্গবন্ধু দারোয়ানকে নিয়েও ভাত খেয়েছেন, কর্মীকে নিজের চাদর খুলে দিয়েছেন। কর্মীরা যখন বঙ্গবন্ধুকে স্যার বলতো, তখন বঙ্গবন্ধু বলতেন, আমাকে স্যার নয়, ‘মুজিব ভাই’ বলে ডাকবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কর্মীর পার্টি, নেতার পার্টি নয়। এ দলে কর্মীদের অবহেলা করে নেতাদের নেতাগিরি চলবে না। আগে কর্মীকে মূল্যায়ন করুন, পরে নেতাগিরি দেখান।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমানের পরিচালনায় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও অধ্যাপক রফিকুর রহমান।