ওসির সহযোগিতায় থানায় উপজাতি তরুণীর বিয়ে

 ই-বার্তা ডেস্ক।।   বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় নিজ কার্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর শ্রী রানা তাতি (২৬) ও লিমা বালা তাতির (১৮) বিয়ে দিয়েছেন ওসি মো. হুমায়ুন কবীর

আশীর্বাদের পর বিয়ে না করায় থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে উভয়পক্ষকে থানায় ডেকে এনে তরুণ-তরুণীর বিয়ে দেন ওসি।

জানা গেছে, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামের মৃত নির্মল তাতির ছেলের সঙ্গে একই গ্রামের রঞ্জিত কুমার তাতির মেয়ে লিমা বালা তাতির গত দেড় বছর আগে বিয়ের আশির্বাদ অনুষ্ঠিত হয়।

বিয়েতে বর পক্ষকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিল। তার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা নগদ বরপক্ষকে দেয়। টাকা নেয়ার পরে বরপক্ষ বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় কনের বাবা ৫০ হাজার টাকা ফেরত চান।

সেই টাকা ফেরত না দিলে কনের বাবা রঞ্জিত তাতি শুক্রবার শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদিবাসীদের চলমান বিবাদ নিরসনের জন্য শেরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবীর শনিবার রাতে উভয়পক্ষকে থানায় ডেকে আনেন। আলাপ আলোচনা করে তার নিজ কার্যালয়ে বিয়ের আয়োজন এবং হিন্দু বিবাহ নিবন্ধকের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করেন।

ওসি হুমায়ুন কবীর তার নিজ খরচে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি খাইয়ে আশীর্বাদ করেন ও স্ত্রী লিমা বালাকে স্বামী রানা তাতির হাতে তুলে দেন।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, কনের বাবা রঞ্জিতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয়পক্ষকে ডেকে এনে সমঝোতার মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ই-বার্তা/ শফিকুল ইসলাম