ওস্তাদ ব্রেক সামনে ধানক্ষেত!

ই-বার্তা ।।  দুপুরে অল্প বৃষ্টি নামতেই নেত্রকোনার দুর্গাপুরের কাচারী সড়ক দিয়ে বালুভর্তি ট্রাক যাওয়ার সময় ‘ট্রাকের হেলপার জোরে বলে ওঠে ওস্তাদ ব্রেক! সমস্যা কী? সামনে ধান ক্ষেত, কস কি? আরে উস্তাদ রাস্তার যেই অবস্থা তার মধ্যে আবার বৃষ্টি হইতেই কাম-কাইজ রাইখা, দোকানদাররা সুযোগ পাইয়া ধান লাগাইতাছে, আরে হাচাই দেখি ধান লাগাইবার লাগছে, অহন গাড়ি লইয়া জামু কুনহান দিয়া, এহানকার এমপি-মন্ত্রীরা করে কী? ওরা কি দেহে না? রাস্তাগুলোর এই রকম অবস্থা হইয়া গেছে’ এ কথাগুলো বলে গাড়ি থামিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে ট্রাক ড্রাইভারদের।

গত শুক্রবার দুপুরে পৌরসভার উৎরাইল বাজার, কাচারী রোডে এমন অবস্থা দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ৩৬ কিমি. সড়ক ৩১৬ কোটি টাকা ব্যায়ে এ কাজের উদ্বোধন করেন নেত্রকোনার ১-আসনের এমপি ছবি বিশ্বাস।

কাজের ওয়ার্ক অর্ডার জনসমক্ষে টাঙানো কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত স্থাপন করা হয়নি কোনো বিল বোর্ড। ইতিমধ্যে একটি পর্যবেক্ষক দল সরেজমিনে সড়কটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান অনেক অনিয়মের দৃশ্য। তারা বলেন, কোথাও কোথাও ১ ফুট, কোথাও ৩ ফুট গর্ত করা হয়েছে। নিম্নমানের পাথর, পুরাতন ইটের সুরকি ও কাদামাটি মিশ্রিত বালু ব্যবহার করা হচ্ছে রাস্তার কাজে। প্রায় ৪০ বছর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টিতে সড়ক থেকে মহাসড়কে উন্নীত করা হয় দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জের এ সড়ক।

এদিকে দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও পূর্বধলা উপজেলার প্রায় ১২ লাখ লোকের দাবি মহাসড়কটি যেন টেকসই মানের কাজ হয়।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক খান  বলেন, আমি মাননীয় এমপি মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, রাস্তার কাজের ব্যাপারে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলমের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। কাজের মান নিয়ে অনেকেই আমাকে বলেছে, পুনরায় সরেজমিনে তদন্ত করে অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। সূত্র: যুগান্তর।