ওয়জিলের অভিযোগ অস্বীকার করলো জার্মানি

ই-বার্তা।। এক ছবিতেই টালমাটাল জার্মান ফুটবল। আপাতত আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছেন মেসুত ওজিল। জার্মানির গায়েও সেঁটে গেছে বর্ণবাদের তকমা। তবে নিজেদের পুত ও পবিত্র প্রমাণ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি)। এক বিবৃতিতে ডিএফবি জানায়, তাদের বিরুদ্ধে আনা বর্ণবৈষম্য ও অসম্মানের অভিযোগ ভিত্তিহীন। 

 

ডিএফবি আরও জানায়, ওজিল যে অভিযোগ এনেছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। জার্মানিতে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। অসম্মান তো দূরের কথা। এখানে সব ধর্ম, বর্ণের মানুষ সহাবস্থানে থাকে। সবাই প্রাপ্য সম্মান পান। আমরা মানব ধর্মে বিশ্বাসী। ওজিলের প্রতি সহানুভূতিও দেখিয়েছে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, তার ওপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গেছে সে জন্য আমরা অনুতপ্ত। তাকে সহানুভূতি দেখানো ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ খোলা নেই। তবে সে যে অভিযোগ করেছে তা প্রত্যাখ্যান করছি।

 

গেল মে মাসে লন্ডনে তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওজিল। সঙ্গে ছিলেন আরেক তুর্কি বংশোদ্ভূত ফুটবলার ইকাই গুন্দোগান। সেই সাক্ষাতের ছবি ভাইরাল হওয়ায় চরম সমালোচনার মুখে পড়েন ওজিল। তুরস্কের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাজে হওয়া সত্ত্বেও দেশটির প্রধানের সঙ্গে দেখা করায় জার্মানির গণমাধ্যম ধুয়ে দেয় তাকে। জলঘোলা হচ্ছিল দীর্ঘদিন।

 

বিশ্বকাপে ওজিলকে দলে না নিতে কোচ জোয়াকিম লোর প্রতি অনুরোধ জানান জার্মানদের একাংশ। তবু তাকে দলভুক্ত করেন এ গুণী কোচ। তবে রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়ায় ফের রোষানলে পড়েন আর্সেনালের ২৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। একপর্যায়ে মৃত্যুর হুমকি পান। শেষ পর্যন্ত তা সহ্য করতে না পেরে জার্মান ফুটবলকে বিদায় জানান। বিদায়বেলায় ওজিলের অভিযোগ, মুসলমান হওয়ার কারণেই নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে তাকে। যখন-তখন বর্ণবৈষম্য ও অসম্মানের শিকার হতে হয়েছে। তা থেকে মুক্তি পেতেই জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি।

 

 

ই-বার্তা/ স্পোর্টস ডেস্ক