কঠোর অস্ত্র আইনের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ

ই-বার্তা।।  কঠোর অস্ত্র আইনের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

গত মাসে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে একটি গুলি গোলাগুলির ঘটনায় ১৭ জন নিহত হওয়ার পরপরই মার্চ ‘ফর আওয়ার লাইভস’ বা ‘আমাদের জীবনের জন্য পদযাত্রা’ শিরোনামের এই আন্দোলন দানা বাঁধে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে জোরালো বক্তৃতা দেন ছাত্রনেতা ও পার্কল্যান্ডের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এমা গঞ্জালেজ। তিনি নিহতদের নামের তালিকা পড়ার পর মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছয় মিনিট ২০ সেকেন্ড নীরবতা পালন করেন। এই ছয় মিনিট ২০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যেই তাদের হত্যা করা হয়েছিল।

ওয়াশিংটন ডিসির কর্মসূচির সঙ্গ সংহতি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৮০০টি স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এছাড়া এই কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে এডিনবরা, লন্ডন, জেনেভা, সিডনি ও টোকিওতেও কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে এটিই ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় আগ্নেয়াস্ত্র বিরোধী র্যা লি। ওয়াশিংটনের কর্মসূচির অনুসরণে নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস, হিউস্টনসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন শহরে র্যা লি অনুষ্ঠিত হয়। এসব র্যা লিতে মূলত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন সঙ্গীতশিল্পী ও হলিউড তারকারা।

গতমাসে ফ্লোরিডার একটি স্কুলে এক কিশোরের গুলিতে ১৭ জনের মৃত্যুর পর এই বিক্ষোভকে মার্কিন অস্ত্র আইন বিরোধী সর্বোচ্চ প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আয়োজকরা আশা করছেন, দেশের প্রচলিত অস্ত্র আইনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাবেন ক্ষমতাসীন ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউজের তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে, মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক মতামত জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ প্রচলিত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে পরিবর্তন চান। ৬৯ শতাংশ মার্কিন নাগরিক মনে করেন, যেকোনো মানুষের পক্ষ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের সহজ-প্রাপ্তির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা প্রয়োজন। তবে এতে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তাদের পৃষ্ঠপোষক রাজনীতিবিদরা।