করতোয়া নদী থেকে নিখোঁজ গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

ই-বার্তা ডেস্ক ।।    নিখোঁজের পাঁচদিন পর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে রেহেনা খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নের মরা করতোয়া নদীর কচুরিপানার নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত রেহেনা খাতুন গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের শাকিল মিয়ার স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে শাকিল মিয়া পলাতক রয়েছেন। তবে রেহেনার শ্বশুর এজাদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র থেকে জানা গেছে , গত সোমবার থেকে রেহেনা বেগম হঠাৎ নিখোঁজ হন। বাবার বাড়ি ও স্বামীর বাড়িতে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। পাঁচদিন পর শুক্রবার মরা করতোয়া নদীর কচুরিপানার নিচে তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ১০ বছর আগে শাকিলের সঙ্গে রেহেনার বিয়ে হয়। তাদের ৯ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে রেহেনার সঙ্গে শাকিলের পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ চলছিল। মরদেহ উদ্ধারের সময় রেহানার গলা ও হাতকাটা দেখে ধারণা করা হচ্ছে তাকে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ ওই স্থানে ফেলে রাখা হয়েছিল।

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।। এ ঘটনার পর থেকে রেহেনার স্বামী শাকিল মিয়া তার সন্তানকে নিয়ে পলাতক রয়েছে। তবে তার শ্বশুর এজাদুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হযেছে।

ই-বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম