করোনা ভাইরাসের কারণে যশোর অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউনঃ জেলা প্রশাসন

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) করোনাভাইরাস পরীক্ষায় আরও চার জেলায় ১১ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ১১ জনকে শনাক্ত করা হয়।

সোমবার সকালে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ৭৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো। যশোর জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪ জনে।

সোমবার সকাল ৬টা থেকে যশোর জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন শুরু হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। রোববার যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ গণবিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে রোববার ৯ম দিনে চার জেলার ৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এর মধ্যে যশোরের আটজনের নমুনা পরীক্ষা করে চার এবং ঝিনাইদহের ৩৯ নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এ ছাড়া নড়াইলের ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে মাগুরার ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।

এর আগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে শনিবার ৮ম দিনে চার জেলার ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৭ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

শুক্রবার ৭ম দিনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হন। এদিন ৫ জেলা থেকে ৯৫টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল।

বুধবার ষষ্ঠ দিনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হন।

এদিন ৭ জেলা থেকে ৮৪টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। আর মঙ্গলবার ৫ম দিনে যবিপ্রবি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জন কোডিভ-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। সব মিলিয়ে এখানে মোট ৭৫ জন রোগী শনাক্ত হলো।

ফলে এ পর্যন্ত যশোরে ৩৩, ঝিনাইদহে ১৪, নড়াইলে ১২, চুয়াডাঙ্গায় ছয়, মাগুরা ও কুষ্টিয়ায় চারজন করে এবং মেহেরপুরে দুজন রোগী শনাক্ত হলো। যবিপ্রবিতে সাত জেলার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।

এদিকে অবনতিশীল পরিস্থিতিতে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার সকাল ৬টা থেকে যশোরে লকডাউন শুরু হয়েছে।

যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অথচ কোনোভাবেই মানুষকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যাচ্ছে না। সেই কারণে আরও কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে গোটা যশোর জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে।