কারাভ্যন্তরেও বিরোধীদের নিরাপত্তা নেই : মির্জা ফখরুল

ই- বার্তা ডেস্ক।।   বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের সমালোচনা করে  বলেছেন, ‘বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সরকারি দমননীতির শিকার হয়ে শুধু বাইরেই নয় মিথ্যা মামলায় কারাভ্যন্তরেও তাদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। কারাগারে বিএনপি নেতাদের একের পর এক জীবন চলে যাচ্ছে।’

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দলের সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ফখরুল বলেন, ‘কুষ্টিয়া কারাগারে কারা কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় এম এ শামীম আরজুর অকাল মৃত্যুতে মরহুমের পরিবারবর্গের ন্যায় আমিও সমব্যাথী। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী ও বলিষ্ঠ সংগঠক মরহুম এম এ শামীম আরজু কুষ্টিয়া জেলা বিএনপিতে অত্যন্ত সুপরিচিত একটি নাম।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা এম এ শামীম আরজু গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে স্থানীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের সময় জেলা বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারান্তরীণ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।’

বিষয়টিকে কারা কর্তৃপক্ষের ‘চরম অবহেলা’ উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে আরজুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

বিবৃতিতে ফখরুল  বলেন, ‘কারাভ্যন্তরে তার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, বরং এটি একটি হত্যা। সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আরজুকে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হলো। কারাকর্তৃপক্ষের চক্রান্তে আরজুর মৃত্যুর জন্য সরকারই দায়ী। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপিকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে তার গতিশীল নেতৃত্বের জন্যই তিনি সরকারের প্রতিহিংসার শিকারে পরিণত হয়েছেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা, গুমসহ তাদের বিরুদ্ধে অসত্য মামলা দায়ের করে পাইকারি হারে গ্রেফতারের মাধ্যমে কারাগারগুলো ভরে ফেলেছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের রিমান্ডে নিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হচ্ছে। পাশবিক নিপীড়ন-নির্যাতনে কারাগারে বন্দী অসুস্থ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করে তাদের জীবন বাঁচানোর কোনো চেষ্টা করা হয় না।’

ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম