কুমিল্লায় পেঁয়াজের কেজি ১৩০ টাকা

ই- বার্তা ডেস্ক।।   অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে কুমিল্লায় খুচরা বাজারে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ।

গত এক সপ্তাহ ধরে এই দামে পেঁয়াজ বিক্রির ঘটনা টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর অন্যতম কাঁচাবাজার বাদশা মিয়া বাজারে পেঁয়াজ ১১০-১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দামের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে মুদি ব্যবসায়ী সাকিব জানান, গত চার দিন ধরে মিয়ানমারের পেঁয়াজে বাজারের চাহিদা মিটছে। আমদানিকারকরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

নগরীর বাদশা মিয়ার বাজার, রাজগঞ্জ ও রানীর বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ছোট পেঁয়াজ ১১০ টাকা, মাঝারি পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ একেবারেই অপ্রতুল।

নগরীর খুচরা বাজার ছাড়াও পাইকারি বাজার ‘চকবাজার’ ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিভাবে কেজি প্রতি পেঁয়াজ ১০০-১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকার আজগর হোসেন বলেন, ‘আমাদের কিছু করার নেই। আমরা ইচ্ছে করে পেঁয়াজের দাম বাড়াইনি। ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসায় পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য করেছে কেজি প্রতি ১০৫-১১০ টাকা বিক্রি করতে। মোকামগুলোতে পেঁয়াজ না আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’

ক্রেতা আবদুল হক বলেন, ‘আসলে এভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়লে আমরা কী করবো? নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের সমস্যাই বেশি।’

রাজগঞ্জ বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. দেলোয়ার হোসেন কুমিল্লা চকবাজার থেকে পাইকারি ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১১১ টাকা এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০৫ টাকা দরে কিনে এনেছেন। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের পেঁয়াজ নিয়ে ক্রেতাদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আমরা নিজেরাও দেখি প্রতি বস্তায় মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজে ৪-৫ কেজি পঁচা থাকে।’

তবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ে কুমিল্লা রাজগঞ্জ ও চকবাজার দৈনিক বাজার ব্যবসায়ী কমিটির অনেকেই নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, এখানে কিছু সিন্ডিকেট থাকলেও মূলত পেঁয়াজ আসছে না এটাই সত্যি। আর পেঁয়াজ আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারের এ দুরাবস্থা।