কুষ্টিয়ায় ভোটের উত্তাপ

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  আগামী ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে কুষ্টিয়ায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে উপজেলাকে একটি আধুনিক, উন্নত, বসবাসের উপযোগ্য, মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্তসহ বিভিন্ন উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। এছাড়া পোস্টার, ব্যানার, পথসভা, গণসংযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।

কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা। জেলার অপর পাঁচটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই পাঁচ উপজেলাতেই রয়েছে একাধিক প্রার্থী। ৫টি উপজেলাতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।

দৌলতপুরে সাবেক এমপিপুত্র এজাজ আহমেদ মামুন নৌকা প্রতীকে এবং সদ্য সাবেক এমপির ভাই ও দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মিরপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন নৌকা প্রতীকে এবং পোড়াদহ ইউপির সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুকুজ্জামান জন আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার কুষ্টিয়া শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুকুজ্জামান জন সাংবাদিক সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে বিভিন্ন এলাকায় আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, প্রচার মাইক ছিনতাইসহ নানা অভিযোগ করেন। এ সময় তার সঙ্গে জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিনসহ উপজেলা জাসদ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে একই অভিযোগে পরদিন মঙ্গলবার সকালে জাসদ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুকুজ্জামান জনের বিরুদ্ধে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামারুল আরেফিন। উভয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করেন।
এছাড়া সংবাদিক সম্মেলন শেষে নৌকা প্রতীকের প্রায় দুই হাজার সমর্থক গোড়াদহ বাজারে প্রতিবাদ সভা করেন। অন্যদিকে দৌলতপুরে নৌকা প্রতীকে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া