কোটা আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপর ফের ছাত্রলীগের হামলা!

ই-বার্তা।।  রোববার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করলে তাতে হামলা চালায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। আজ কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদ এবং গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদ, নিরাপদ ক্যাম্পাস ও গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবিতে রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি ছিল। সকালে কর্মসূচি পালন করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হওয়ার আগেই সেখানে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনে সেখানে জড়ো হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের গালিগালাজ এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিভিন্ন কটূক্তি করতে থাকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সুষ্ঠুভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে না পেরে এক পর্যায়ে মিছিল বের করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালালে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

 

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিলে ঢুকে সাধারণ ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীদেরও মারধর করে বলে হামলার শিকার কয়েকজন অভিযোগ করেছেন। হামলার পর শিক্ষক ও ছাত্রদের একাংশ আবার শহীদ মিনারে অবস্থান নেন। অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক বলেন, ‘মানববন্ধনের শেষ পর্যায়ে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাদের ঘিরে ফেলে। পরে আমরা রাজু ভাস্কর্যের দিকে যাওয়ার পথে শিববাড়ি মোড়ে শেখ রাসেল টাওয়ারের সামনে তারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এবং আমাদের লাঞ্ছিত করে।

 

তিনি আরো বলেন, “ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। তারা মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে শিক্ষার্থীদের হাতুড়িপেটা করছে। এ অবস্থায় আমাদের ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজন।”

 

অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক আরো বলেন, ‘মৌলিক অধিকার চাইতে কোনো জনগোষ্ঠী গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করতেই পারে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যদি হামলা হয় তখন আমরা শিক্ষক হিসেবে এর প্রতিবাদ করতেই পারি।” এভাবে বার বার ছাত্রলীগের হামলার পরেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসে চলাফেরা বন্ধ হয়ে যাবে। দ্রুত হামলার বিচারের দাবি জানিয়েছে সাধারণ ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষকরা।

 

 

ই-বার্তা। ডেস্ক রিপোর্ট