কোন পথে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপির রাজনীতি?

ই-বার্তা ডেস্ক।।  আজ ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলার রায়ে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের এক বছর পূর্ণ হলো।  তার মুক্তির জন্য আজ দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউটে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।  এ ছাড়া শনিবার দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে তারা।

জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন তিনি।  খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি পথে এগিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তার দল।তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, কারাগারে খালেদা জিয়া সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা পড়েন, এবাদত-বন্দেগি করেন এবং বই পড়ে সময় কাটান।

গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রধানকে ছাড়াই অংশ নিয়েছিল বিএনপি।কিন্তু নির্বাচন ব্যাপক ভরাডুবি হওয়ার পর দলটি আরও বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে।  এখন পরবর্তী করণীয় নিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম নিয়ছে। 

তাদের প্রশ্ন- বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে থেকেই দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন, নাকি তার মুক্তির জন্য কঠোর আন্দোলনে যাওয়া হবে।  খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের সঙ্গে বিএনপি কী সমঝোতায় যাবে, এমন কথাও আলোচনা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, একের পর এক মামলায় জড়ানো হচ্ছে  বেগম জিয়াকে।  সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে কোনোভাবেই তাকে মুক্ত করা যাবে না।

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, যে মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।  এর কোনো ভিত্তি নেই। আপিলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।

গত বছর ৩০ অক্টোবর অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার নিম্নআদালতের দেয়া পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। 

নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার মধ্যে দুর্নীতির মামলা ৫টি। পাঁচটি মামলাই এক-এগারোর সময়ে করা।  বাকি ৩১টি ২০১৪ সালের পর করা।  মূলত রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা, ইতিহাস বিকৃতি, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি, ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে এসব মামলা হয়।

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু