ক্যান্সারের ৬ লক্ষণ

মানবদেহের এক একটি অঙ্গের সঙ্গে আরেকটি অঙ্গ-প্রতঙ্গভাবে জড়িত। আপনার শরীরে যদি কোনো ধরনের সমস্যা হয় তবে শরীরই আপনাকে জানিয়ে দেবে।কারণ শরীর হচ্ছে, একটি যন্ত্রের মতো।কোনো সমস্যা হলে আপনি সুস্থবোধ করবেন না।শরীরের খারাপ লাগবে।

শরীর যদি খারাপ হয় তবে আপনি বেশকিছু সংকেত পাবেন।আমাদের অনেকেই হয়তো ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন।কিন্তু আমার অনেক সময় বুঝতে পারি না। কোনো অসুখ হলে আমাদের শরীরই নানা রকম সংকেতের মাধ্যমে তা জানান দেয়।

মানুষের যত রকম ক্যান্সার হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শরীর সে সম্পর্কে কোন না কোন পূর্বসংকেত দেয়। কিছু লক্ষণ দেখে আপনি সন্দেহ করতে পারবেন যে আপনার দেহে হয়তো ক্যান্সার হয়ে থাকতে পারে।

আসুন জেনে নেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ৬ লক্ষণ-

ওজন মাপুন

শরীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।সুস্থ থাকার অনেক ওজন বাড়িয়ে ও কমিয়ে থাকেন।কিন্তু চিন্তার বিষয় এই যে শরীরের ওজন যদি এমনিতেই কমে যায়। হঠাৎ শরীরের ওজন কমতে শুরু করেছে কিন্তু তার তেমন কোন ব্যাখ্যা যদি না থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

হজম ও মল-মূত্র

হজম ও মল-মূত্র ত্যাগের অভ্যাসে কোন ধরনের পরিবর্তন হওয়া। যেমন ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য। যেমন আপনার হয়ত কোষ্ঠকাঠিন্য নেই কিন্তু সেটিই হচ্ছে ইদানীং। অথবা পাতলা পায়খানা।

জ্বর বা খুসখুসে কাশি

জ্বর বা খুসখুসে কাশি হচ্ছে ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।যদি একাধারে অনেকদিন জ্বর ও কাশি থাকে তবে অবশ্যই হেলাফেলা করা উচিত নয়।সারাক্ষণ জ্বর বা খুসখুসে কাশি যা ঠিক যাচ্ছেই না।তবে অবশ্যই চিন্তার বিষয়।

পিণ্ড বা চাকার

অনেক জন্মগতভাবে আবার অনেকে হঠাৎ করে শরীরে চাকা বা পিণ্ডের দেখা দিতে পারে।এক্ষেত্রে অবশ্যই সর্তক হওয়া উচিত।তাই শরীরের কোথাও কোন পিণ্ড বা চাকার উপস্থিতি পেলে অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে দেখুন।

ভাঙা কণ্ঠস্বর

বিভিন্ন কারণে আপনার কণ্ঠস্বর ভেঙে যেতে পারে।তবে এটির নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরেও যদি কোনো সুফল না মেলে তবে এটি অবশ্যই চিন্তার বিষয়।

অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ

অহেতুক রক্তক্ষরণ ক্যান্সের অন্যতম উপসর্গ। অহেতু শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে অবশ্যই তা চিন্তার বিষয় অনেক পায়খানার রাস্তা দিয়ে বা কাশির সঙ্গে রক্ত যায়।আবার তিল বা আঁচিলের সুস্পষ্ট পরিবর্তনও হতে পারে ক্যান্সারের কারণ।

মোটা দাগে এই উপসর্গ বা শরীরের সংকেতের কোন একটি যদি দু থেকে তিন সপ্তাহ ধরে থাকে আর সেগুলোর সাধারণ চিকিৎসায় না কমে যায় – তবেই ক্যান্সার শব্দটি মাথায় রেখে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

 

 

ই-বার্তা/ডেস্ক