ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে যে ৬ টি খাবারগুলো

ই-বার্তা ডেস্ক।। ক্যান্সার যে একটি ‘মরণ ব্যাধি’ এটা কারোরই অজানা নয়। ক্যানসার চিকিত্সায় বড়ো অগ্রগতির খবর দিয়েছেন গবেষকেরা। ক্যান্সার চিকিত্সার সময় খাবারের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখা হলে মরণব্যাধি ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব।

ক্যান্সার প্রতিরোধ কাজ করে এমনই কিছু খাবারের নাম জেনে নিন-

১। খেজুর: ক্যান্সার প্রতিরোধ অবাক হলেও সত্য খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এক গবেষনায় দেখা যায় খেজুর পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আর যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যান্সারের ঝুঁকিটা কমে যায় অনেকখানি।

২। গ্রিন টি বা সবুজ চা ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক উপকারী। এই সবুজ চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটচীন নামক উপাদান থাকে, যা বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। গবেষণায় আরো দেখা গেছে গ্রিন টি টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে থাকে। সাধারণ চায়ের চেয়ে গ্রিন টি বেশি উপকারী। তাই চা না খেয়ে গ্রিন টি বা সবুজ চা খেতে পারেন।

৩। গাজর অনেক পুষ্টিগুণ ও ভিটামিনে ভরপুর খাদ্য। আর এই গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারটিন আছে যা বিভিন্ন ক্যান্সার যেমন ফুসফুস ক্যান্সার, শ্বাসনালী ক্যান্সার, পাকস্থলী ক্যান্সার, অন্ত্র ক্যান্সার এমনকি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিন একটি গাজর বা এক গ্লাস গাজরের রস পান করলে এই সকল ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

৪। সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় ও কার্যক্ষম রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হৃদযন্ত্রের রিদমকে দ্রুততর করে, ধমনীতে চর্বি জমার মাত্রাকে কমিয়ে দেয়, ধমনীতে পুরনো প্রদাহকে ঠাণ্ডা রাখতে এবং রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক। গবেষকেরা জানিয়েছেন হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য প্রতি সপ্তাহে একজন মানুষের ১৭৫০ মিলিগ্রাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড দরকার পড়ে। আর এই সামুদ্রিক মাছের মধ্যে বিদ্যমান থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাট এসিড যা প্রদাহ প্রতিরোধ করে ফলে দেহের ক্যান্সারের রূপ নিতে বাধা দেয়।

৫। ডালিম দেহের শ্রেষ্ঠতম হিতকর ফল। এ ফল কোষ্ঠ রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। গাছের শিকড়, ছাল ও ফলের খোসা দিয়ে আমাশয় ও উদরাময় রোগের ওষুধ তৈরি হয়। ইহা ত্রিদোষ বিকারের উপশামক, শুক্রবর্ধক, দাহ-জ্বর পিপাসানাশক, মেধা ও বলকারক, অরুচিনাশক ও তৃপ্তিদায়ক। ডালিমের ফুল রক্তস্রাবনাশক। ডালিমে বিউটেলিক এসিড, আরসোলিক এসিড এবং কিছু আ্যলকালীয় দ্রব্য যেমন- সিডোপেরেটাইরিন, পেপরেটাইরিন, আইসোপেরেটাইরিন, মিথাইলপেরেটাইরিন প্রভৃতি মূল উপাদান থাকে। এই ফলটি বিভিন্ন রোগ উপশমে ব্যবহার হয়। এছাড়া বেদানায় ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদানের পাশাপাশি এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টিইনফ্লামেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

৬। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি এক গবেষণায় বলা হয়েছে হলুদে ‘কারকিউমিন’ নামক উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়া এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। প্রতিদিন কাঁচা হলুদের দুধ, বা মাছ ও মাংসের মত তরকারিতে প্রয়োজন মত হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ক্যান্সার কোষকে শরীরের ভাল কোষকে নষ্ট করতে বাধা দেয় এবং ক্যান্সার কোষকে নিস্তেজ করতে সাহায্য করে। সুতরাং নিয়মিত খাদ্যের মধ্যে হলুদ খেতে চেষ্টা করবেন।