ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের অর্থ-সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে

ই-বার্তা ডেস্ক।।  ইয়াবা কারবারিদের মতো ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের অর্থ-সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আইন-বিশেষজ্ঞ ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।  

এদিকে গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই থানা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়া, তাদের সহযোগী হারুন অর রশিদ ও আবুল কালামের বিরুদ্ধে ওয়ারী, গেণ্ডারিয়া ও সূত্রাপুর থানায় সাতটি মামলা হয়েছে। তবে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। 

এলাকাবাসী জানায়, দলের প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে এনু-রুপন থাকতে পারে। গা-ঢাকা দিয়েও তারা থাকতে পারে। এনু-রুপনের ১৫টি বাড়ির হদিসের কথা র‌্যাব বললেও এলাকাবাসী বলছে, তাদের আরও অনেক বেশি বাড়ি ও সম্পদ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মামলার সঠিক তদন্ত হলে কক্সবাজারের ভুট্টো পরিবারের মতো এনু-রুপন ও তাদের সহযোগীদের অবস্থা হবে।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, ক্যাসিনোতে অভিযানে উদ্ধার স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে। অভিযানের পর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার থানায় জমা দেয়া হয়েছে। সেগুলো আদালতের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, ক্যাসিনো, জুয়াবাজি, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে পরিচালিত শুদ্ধি অভিযানে র‌্যাব এ পর্যন্ত ২০১ জনকে আটক করেছে। অভিযানে ক্যাসিনো ও জুয়া খেলার সামগ্রী, বিদেশি মদ, অস্ত্র, সিগারেট, বিয়ার, হেরোইন, কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম, কয়েকশ’ কোটি টাকা, ডলার, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রের কাগজপত্র এবং আট কেজির বেশি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। 

আরামবাগের ইয়াংম্যান্স ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা চিত্তবিনোদন ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র ও গোল্ডেন ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ২০১ জনকে আটক করা হয়। তাদের কারও এক বছর, কারও ছয় মাস করে কারাদণ্ড হয়েছে। এসব ক্লাব থেকে নগদ ৪০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জি কে শামীম, ফিরোজ, লোকমানসহ ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেক নেতাকে আটক করা হয়। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু