খালেদা জিয়াকে নিয়ে ‘কটূক্তির’ প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ই-বার্তা ডেস্ক  ।।  পদ্মা সেতু ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এছাড়া সমাবেশ থেকে ছাত্রদল সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ ও আটককৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তারা। বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আখতার হোসেন, সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমানসহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয়, ঢাবি শাখাসহ বিভিন্ন ইউনিটের অন্তত পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, অনেকে মনে করেছেন আমরা এই তপ্ত রোদে উত্তপ্ত। শেখ হাসিনা, আপনি আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছেন। আমাদের আদর্শিক মা’কে নিয়ে কটুক্তি করেছেন। এজন্য আমরা উত্তপ্ত। কত রক্ত চাই? ছাত্রদল রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু আমাদের আবেগ, আমাদের আদর্শিক মা বেগম জিয়াকে নিয়ে কটুক্তি করার চেষ্টা করবেন না। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জুয়েল বলেন, ওয়ান ইলেভেনে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার কারণে আপনি দেশে আসতে পেরেছেন। সেই বেগম জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করতে আপনার লজ্জা লাগে না! আপনি বিবেক বিবর্জিত একজন মানুষ। শেখ হাসিনা, আপনার যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে জাতীয়তাবাদী দল দরকার নেই, ছাত্রদলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করুন। কিন্তু আপনি তা পারবেন না। কারণ আপনার আচরণ কাপুরুষোচিত। আপনি প্রশাসনের শক্তির অপব্যবহার করে আওয়ামী লীগের কাজে লাগাচ্ছেন।

ছাত্রদল সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের উপর বারবার আক্রমণ করার অভিযোগ তুলে জুয়েল বলেন, আপনি ওপেন ঘোষণা করে কোথায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে চান, জানান। কথা দিচ্ছি সেখানেই ছাত্রদল আপনাদের প্রতিরোধ করবে। আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন, পুলিশ দিয়ে হয়রানি বন্ধ করুন। না হয় ছাত্রদল পাল্টা প্রতিরোধ করতে জানে। ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, অবৈধভাবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ জায়গায় থেকে শেখ হাসিনা যাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন উনিই কিন্তু ১৯৮৬ সালে শেখ হাসিনার উপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১/১১ তে হাসিনার মুক্তির জন্য যিনি প্রথমে আহ্বান করেছিলেন, তিনি হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামীগ সভানেত্রীকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান করছি। ছাত্রদল সভাপতিসহ সকল নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি বন্ধের জন্য পুলিশ ভাইদেরকে অনুরোধ করছি। আপনারা ওসি প্রদীপ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। সারাদেশে নৈরাজ্য বন্ধ করুন।