খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা সঠিক নয়ঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ই-বার্তা।।  মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনেক অসুস্থ কথাটি সঠিক নয়। তিনি নতুন কোনো রোগে আক্রান্তও হননি যাতে তার স্বাস্থ্যহানি হয়।

 

আসাদুজ্জামান খান বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক তার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শকের (আইজি প্রিজন) সঙ্গেও কথা হয় বলে জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, মাঝে একদিন তাকে (খালেদা জিয়া) সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। এপরপর আর সেখানে যেতে রাজি হননি তিনি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তাতেও তিনি রাজি হননি।তবে প্রয়োজন হলে খালেদা জিয়াকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো হবে বলে জানান মন্ত্রী।তিনি বলেন, জেল কোড অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে সিরিয়াস অসুখ হলে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থাই নেব।

 

আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যা করি না এমন মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো গুম হচ্ছে না। যেগুলোকে আপনারা গুম বলছেন, সেগুলো আসলে গুম না। আমরা কিন্তু তাদের ধরে সামনে আনছি। কেউ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে গুম হয়ে যান, কেউ ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে গুম হয়ে যান। আবার দুইজনের মন মিল হয়ে গেলে এক হয়ে যান। এসব লোকজনকে আমরা কোথায় পাব? তারপরও আমরা সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের জানা মতে বেশিরভাগ গুমই এরকম।বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফের নিহত কাউন্সিলর একরামুলের যে কথোপকথন প্রকাশ হয়েছে সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সেটা আমাদের তদন্তে আছে। আমি যতটুকু জানি আপনারাও ততটুকু জানেন। তদন্ত হচ্ছে যে এটার সঙ্গে জড়িত আছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আমরা নেব। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এইটুকু যে অন্যায় করবে তার বিচার হবে। সবার জন্য আইন সমান।

 

তিনি আরও বলেন, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত যাতে নির্ভুল হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। আমি এটুকু বলতে পারি তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা এবং যদি প্রয়োজন পড়ে বিচারিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। এখানে আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।মাদক নির্মূলে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না দাবি করে মন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মাদক সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে। পুলিশ এমনকি সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা এমন কিছু করতে চাই না যাতে নিরীহ ব্যক্তি আক্রান্ত হয়। পাঁচটি গোয়েন্দা সংস্থাকে তাগাদা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা করিয়েছি। যাদের নাম কমন পড়ছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।