খালেদা জিয়ার চারপাশে রাসায়নিক বিষ্ফোরকের ডিপোঃ রিজভী

ই-বার্তা ডেস্ক।।  পুরান ঢাকার ভয়াবাহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল চকবাজারের কাছেই অবস্থিত নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন খালেদা জিয়া।  তার নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে বিএনপি।  

রোববার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমি গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কের সঙ্গে বলছি, আমাদের প্রাণপ্রিয় দেশনেত্রী বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা খালেদা জিয়াকে যে পরিত্যক্ত কারাগারে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে তার চারপাশে রাসায়নিক বিস্ফোরকের ডিপো।’ 

বুধবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যে ভবন, চকবাজারের চুড়িহাট্টার সেই ওয়াহেদ ম্যানশন থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের দূরত্ব মাত্র দেড় থেকে দুইশ’ মিটার দাবি করে রিজভী বলেন, ‘শুধু প্রতিহিংসার লেলিহান অনলে দগ্ধ শেখ হাসিনা অবৈধ ক্ষমতার জোরে এমন একটি কেমিক্যাল বিস্ফোরকবেষ্টিত ভয়ঙ্কর বারুদের ডিপোর মাঝখানে আতঙ্কজনক পরিবেশে দেশনেত্রীকে এক বছর বন্দি রেখেছেন।  তাকে এক অশুভ উদ্দেশ্যে ভয়াবহ বিপজ্জনক পরিবেশে বন্দি করে রেখেছে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।  আমাদের বক্তব্য এই মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।  তিনি নির্দোষ, এই মুহূর্তে তার মুক্তি চাই।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘২০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর শহীদ মিনারে যাওয়া উপলক্ষে রাত ১০টা থেকে আশপাশের রাস্তাঘাট সব বন্ধ করে দেয়ায় পুরান ঢাকার উর্দু রোড, চানখাঁরপুল, নাজিমউদ্দিন রোডে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়েছিল।  এত জীবনহানিতে গভীর মর্মবেদনা ও দুঃখের কারণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল শহীদ মিনারের কর্মসূচির কিছুটা পরিবর্তন করে প্রশাসনকে আগুন নেভানোর কাজে সর্বাত্মক চেষ্টার নির্দেশ দেয়া।  তাদের এহেন দায়িত্বহীন আচরণের কারণে মানুষের মূল্যবান জীবন ঝরে গেছে।’

চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুনের ঘটনা কেন্দ্র করে খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করা যেতে পারে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আমাদের নেত্রী একটি ভুয়া মামলায় কারাগারে আছেন, স্থানান্তর নয় এই মুহূর্তে তাকে মুক্তি দিতে হবে।  আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু