খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নারীর ভোটার উপস্থিতি বেশি

ই-বার্তা ডেস্ক ।। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বেলা যত বাড়ছে ভোটারদের উপস্থিতিও তত বাড়ছে। তবে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি চোখে পড়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় একযোগে এ সিটির ২৯৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সকাল থেকেই ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

নগরীর খানজাহান আলী সড়কের মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা হয়। এ কেন্দ্রে তিনটি বুথ রয়েছে। ভোটার সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। এখানে মেয়র ও কাউন্সিলর সব প্রার্থীর এজেন্ট রয়েছে।

এখানে ভোট দিতে এসেছেন এক মধ্য বয়সী নারী। আরও অনেক নারী ভোটারকে দেখা গেল লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।

লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেয়ার অপেক্ষা করছেন এক তরুণী (২২)। তিনি বলেন, ভোটের অবস্থা ভালোই মনে হচ্ছে। এ জন্য ভালো লাগছে।

ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ বললেন, জনগণের জন্য যে ভালো করবেন, তাকেই ভোট দেবেন এবং আমিও তাকেই ভোট দেব।

এদিকে ২৫-৩০টি কেন্দ্র থেকে দলীয় এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। যদিও এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক।

রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মেয়র পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন, আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুর রহমান (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাতপাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।

৪৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ নগরীতে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৯টি ও ভোটকক্ষ এক হাজার ৫৬১ জন। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন, যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।