গণপূর্তের তিন প্রকল্পের কাজ শেষ না করে পুরো টাকা নেন জি কে শামীম

ই-বার্তা ডেস্ক।।  গণপূর্ত অধিদফতরের ৩টি প্রকল্পের সম্পন্ন কাজের চেয়ে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা বেশি বিল তুলে নিয়েছেন ‘টেন্ডারসম্রাট’খ্যাত যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। গণপূর্ত অধিদফতরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।  

গণপূর্ত অধিদফতরের সম্প্রতি করা ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানির হাতে থাকা আগারগাঁও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্মাণাধীন ভবনের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৩০ শতাংশ।

কিন্তু বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৯৩ দশমিক ২৯ শতাংশের। এ প্রকল্পে ২০১ কোটি ৯০ লাখ পরিশোধ করা হয়েছে। র‌্যাব হেডকোয়ার্টারের কাজের অগ্রগতি ৭ শতাংশ। কিন্তু বিল পরিশোধ করা হয়েছে ২৮ শতাংশের। এ প্রকল্পে ৯১ কোটি ৮১ লাখ টাকা বেশি পরিশোধ করা হয়েছে। পঙ্গু হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৮ শতাংশ। কিন্তু বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৯৯.৪২ শতাংশের। এক্ষেত্রে বেশি পরিশোধ করা হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। তিন প্রকল্পে কাজের চেয়ে ২৯৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা বেশি বিল পরিশোধ করা হয়েছে।

গণপূর্তের প্রকৌশলীদের দাবি, বর্তমান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার আগেই এসব কাজ হাতিয়ে নেয় জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

এ বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, যদি এসব প্রকল্পের কোনোটির ক্ষেত্রে অগ্রিম বিল নেয়ার ঘটনা ঘটে থাকে সেক্ষেত্রে তার অন্য প্রকল্পের পাওনা থেকে সমন্বয় করা হবে। আর এসব অনিয়মের তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঝুলে থাকা কাজ গুলো সম্পন্ন হওয়া নিয়ে একটা শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এ বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, জি কে শামীমকে কোনো কাজ দেয়া হয়নি। কাজ দেয়া হয়েছে জি কে শামীমের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে। সে কারণে ব্যক্তির সমস্যার অজুহাতে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা চলবে না।

তিনি আরও বলেন, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী কাজ বন্ধ রাখা যাবে না। কিন্তু জি কে শামীমের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো তিনি গ্রেফতারের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে জি কে শামীমের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জিকেবিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু