গত বছর পরিবহন খাতে ২৯৪, গার্মেন্টস খাতে ৪০ জন নিহত

ই-বার্তা ডেস্ক।।  সদ্য সমাপ্ত ২০১৯ সালে কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৪৫ জন শ্রমিক।  এ সংখ্যা পূর্বের বছরের চেয়ে ৪৭ জন বেশি।  খাতভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী গত বছর সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে পরিবহন খাতে, ২৯৪ জন।  

কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ওশি ফাউন্ডেশন (অকুপেশনাল সেফটি, হেল্থ অ্যান্ড এনভয়ারনমেন্ট ফাউন্ডেশন) নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও ওশি ফাউন্ডেশনের মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের বিদ্যমান শ্রম আইন ও বিধিমালায় উল্লেখিত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিধিমালার দুর্বল প্রয়োগ কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। এছাড়া অপর্যাপ্ত শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থা ও জনবলের ঘাটতি, কারখানায় সেফটি কমিটি গঠনের বিধান অধিকাংশ ক্ষেত্রে এড়িয়ে যাওয়া, বয়লার পরিদর্শন বিভাগের সীমাবদ্ধতা, গৃহকর্মীদের প্রতি অমানবিক আচরণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা না রাখাসহ আরো কিছু কারণও তুলে ধরা হয়। জরিপ প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন ড. এস এম মোরশেদ।

কর্মস্থলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হওয়া, ওপর থেকে পড়ে যাওয়া, মাটি বা পাথর চাপা, অগ্নিকাণ্ড, বজ্রপাত, ভবন ধস, বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরোধ হওয়া, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, লোহা বা ধাতব বস্তুর আঘাত ও গৃহ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনে নিহত বা আহত হওয়াদের তালিকার ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

নির্মাণ খাতে ১৫৬ জন, পোশাক শিল্পে ৪০ জন, কৃষি খাতে ৯৮ জন, দিনমজুর ৪৯ জন আর জাহাজভাঙা শিল্পে ২৩ জন। বাদবাকিরা অন্যান্য খাতের। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের নিরাপত্তা রক্ষায় কিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু